গত ২৫ মার্চ (সোমবার) যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ দূতাবাস বৈরুতে ১৯৭১ এর গণহত্যা দিবস পালিত হয়। বৈরুতে বাংলাদেশ সরকারের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকার দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতিসংঘের নিযুক্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও লেবাননের কমিউনিটির নেতৃবৃন্দদেরকে সাথে নিয়ে এ উপলক্ষে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বিকেলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
প্রথম সচিব (শ্রম) ও দূতালয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকার। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত করেন দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবুল হোসেন। পরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রূহের মাগফেরাত ও দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এসময় জাতীয় গণহত্যা দিবসের আয়োজনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এর বাণী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী দ্বিতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল শাফী পড়ে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকার।
শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ এই দিনে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী “অপারেশন সার্চলাইট” শুরু করে নিরস্ত্র ও নিরীহ বাংলাদেশিদের নির্বিচারে হত্যা করেছিল।
এযাবৎ যত হত্যা হয়েছে সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা গুলোর মধ্যে একটি বাংলাদেশে সংগঠিত হয় কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। বর্তমান সরকার ২৫শে মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী এ স্বাধীকার আন্দোলনে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুলক্ষ মা- বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল- সবুজের পতাকায় বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ। এই পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা জাগরণের লক্ষ্যে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের জানার জন্য এ গণহত্যা দিবস পালন করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, সরকার বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে এবং বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি গণহত্যা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি আদায় নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার জন্য সকলকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
দিবসটিতে আরও বক্তব্য রাখেন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ আবুল বাশার প্রধান বাবুল মুন্সি মোঃ মাহবুবুর রহমান মোঃ ইব্রাহিম রিনা বেগম মহসিন মিধাসহ অনেকে।