সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় প্রায় বেশিরভাগ প্রাইমারি ও হাই স্কুলের সামনে গাড়ি ধীরে চলার মত কোন গতি রোধক সাইনবোর্ড বা সড়কে স্পিড ব্রেকার না থাকায় বারবার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অনিশ্চয়তার জীবনে ঝুকে শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার ফরিদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে আছে দুই শিক্ষার্থী। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে স্কুল শিক্ষার্থীদের জীবন।
স্পিড ব্রেকার বা গতি রোধক সাইনবোর্ড নেই ফেঞ্চুগঞ্জ আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মির্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পি পি এম উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর কুশিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্ডীপ্রসাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে।
স্কুল শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকি থেকে রক্ষায় অবিলম্বে এসকল স্কুলের সামনে বাধ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের উদ্যোগ দাবী করেন অভিভাবক ও সুশীল সমাজের জনগণ।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুজ্জামান বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ও তার মা প্রাইভেট কারের ধাক্কায় আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে গিয়ে তাদের চিকিৎসা করান। এসে দেখেন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তা বেরিকেড দিয়ে রাখছে। তাতে যান চলাচল বন্ধ দেখে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষটি জানান।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শোনা মাত্র ঘটনাস্থলে যাই, দেখি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তা বেরিকেড দিয়ে আছে। তাদের অভিবাবকদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান এখানে এর আগে ও দূর্ঘটনা ঘটেছে। যার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে স্পিড ব্রেকার স্পাপনের কথা ছিল।
তাদের সাথে আলাপ করে চেয়ারম্যান তাদের বেরিকেড প্রত্যাহারের অনুরুধ করলে তারা বেরিকেড প্রত্যাহার করে। চেয়ারম্যান আলাপ আলোচনা করে স্পিড ব্রেকার স্থাপনের আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, দূর্ঘটনার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। স্পিড বেকার স্থাপনের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার জানা নাই আমি এখন জানলাম। তিনি আরো বলেন, এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে স্পিড ব্রেকার হয় না, তারপর ও আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।