জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়াই আন্দোলেনের কর্মসুচী দিয়েছে বিএনপি। রবিবার রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের ডাক দিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসুচী ঘোষণা করেছেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে খালেদার জামিন আবেদনের শুনানির শুরুতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপিল বেঞ্চে বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম খালেদার স্বাস্থ্য প্রতিবেদনের সারমর্ম উপস্থাপন করেন। খালেদার স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে তার ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, খালেদা জিয়া ভালো আছেন, শুধু পায়ের সিরায় একটু ব্যথা আছে। এটা তার পুরনো রোগ। এরপর শুনানি শুরু করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এরপর শুনানিতে অংশ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ‘মানবিক দিক’ বিবেচনা করে খালেদার জামিন আবেদন করেন। পরে ১১টার দিকে আধাঘণ্টার জন্য জামিন আবেদনের ওপর শুনানি মুলতবি ঘোষণা করা হয়। আধাঘণ্টা বিরতির পর বেলা সাড়ে ১১টায় আবার শুরু হয় আপিল বেঞ্চের শুনানি। এ সময় জয়নুল আবেদীন আবার শুনানিতে অংশ নিয়ে খালেদার পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো সুপ্রিম কোর্ট এলাকা।