বালাগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে কনু মিয়া (৪০) নামে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত কনু মিয়া উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের নশিওরপুর গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার পুত্র। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ভোর ৪টার দিকে কনু মিয়া মারা যান বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। এদিকে ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতে কনু মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (২৪ জুন) সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় জমিতে কনু মিয়ার সবজি ক্ষেতে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র আব্দুল ওয়াহিদের গৃহপালিত গরু বেড়া ভেঙ্গে হানা দেয় এবং ক্ষয়ক্ষতি করে। কনু মিয়া এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানালে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আব্দুল ওয়াহিদ কনু মিয়াকে মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞান অবস্থায় কনু মিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে বিকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ভোর ৪টার দিকে কনু মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।
সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কনু মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কনু মিয়ার মৃত্যুর পর, অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াহিদ এবং তাদের পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ভোরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকালে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বিকালে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আলাপকালে গাজী আতাউর রহমান জানিয়েছেন, কনু মিয়ার হত্যা ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যার দিকে কনু মিয়ার মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় নশিওরপুর ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের চাচা সুনু মিয়া, ছোটবোন নাছিমা বেগমসহ তাদের আত্মীয়-স্বজন কনু মিয়ার ওপর হামলাকারী ও হত্যার সাথে জড়িত অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। কনু মিয়ার স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, হামলাকারী আব্দুল ওয়াহিদ তার বাবা আব্দুল কাদির ও ভাই জাহেদের প্ররোচনায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কনু মিয়ার স্বজনরা জানিয়েছেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে।