তদন্তের জালে বন্দি হয়ে যাচ্ছে সিলেটের আলোচিত রায়হান হত্যাকাণ্ড। তদন্ত সংস্থা পিবিআইও হাঁটছে ধীরগতিতে। একেক জন করে তারা দায়ী পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করছে। রিমান্ডে নিচ্ছে, কিন্তু মুখ খুলছে না কোনো আসামিই। কিংবা আদালতেও জবানবন্দি দিচ্ছে না। অন্যদিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না সন্দেহের তীরে থাকা এস আই আকবরকে। ফলে এ নিয়ে আবার নতুন করে ক্ষোভ দানা বাঁধছে সিলেটে। রায়হানের পরিবার ও আখালিয়া এলাকাবাসী পিবিআইয়ের তদন্তেও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না।
এ কারণে তারা নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গতকাল এ নিয়ে আখালিয়া বারো হামছায়ার (বৃহত্তর এলাকা) মানুষ বৈঠক করেছেন। তারা নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচির চিন্তাভাবনা করছেন। ২১ দিন পেরিয়ে গেছে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যার ঘটনা। ঘটনার পর থেকেই আন্দোলনে রয়েছেন এলাকার মানুষ। তাদের একটাই দাবি- আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন বরখাস্ত হওয়া এস আই আকবর হোসেন ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা। কিন্তু দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে এস আই আকবর হোসেনকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধু নোমানের সহযোগিতায় কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে এস আই আকবর। কোম্পানীগঞ্জের দয়ারবাজারের পার্শ্ববর্তী বরমসিদ্ধিপুর সীমান্ত দিয়ে সে ভারতে পাড়ি দিয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারি হেলাল আহমদকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তার কাছ থেকে পাওয়া গেছে উল্লেখযোগ্য তথ্য। গোয়েন্দা রিপোর্টেও সত্যতা মিলেছে এস আই আকবরের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার। মানবজমিন