শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

মরু-পঙ্গপালের কারণে আফ্রিকা ও আরবের কয়েকটি দেশ আবারও বড় ধরনের হুমকির মুখে



পূর্ব আফ্রিকা ও আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশের লাখ লাখ মানুষের জীবিকা ঝাঁকে ঝাঁকে মরু-পঙ্গপালের কারণে আবারও বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়েছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছে। বছর-খানেক আগেও এসব দেশে পঙ্গপালের হানার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এর পর প্রচুর কীটনাশক ছিটিয়ে এসব পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এখন জাতিসংঘ বলছে তাতে খুব একটা কাজ হয়নি বলেই মনে হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি বলছে, মরুভূমির এসব পঙ্গপালের বংশ বিস্তারের জন্য ইথিওপিয়ার পূর্বাঞ্চলে এবং সোমালিয়াতে এখনও আদর্শ পরিবেশ বজায় রয়েছে। এর ফলে ঝুঁকির মুখে রয়েছে কেনিয়াও।

কর্মকর্তারা বলছেন, লোহিত সাগরের উভয় পাশে প্রচুর পঙ্গপালের জন্ম হচ্ছে যার ফলে এরিত্রিয়া, সৌদি আরব এবং ইয়েমেনও নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে।

বলা হচ্ছে, পূর্ব আফ্রিকাতে এবছর পঙ্গপালের যে ধরনের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, গত ৭০ বছরের ইতিহাসে সেরকম কখনও চোখে পড়েনি।

“কেনিয়াতে এই হুমকি আসন্ন, এখন থেকে যে কোন সময়ে তারা হানা দিতে পারে,” বিবিসিকে একথা বলেছেন কিথ ক্রেসমান, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থার ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা। পঙ্গপালের আক্রমণের পূর্বাভাস নিয়ে কাজ করেন তিনি।

“এবারকার পরিস্থিতি গতবারের মতোই খারাপ হতে পারে। কারণ বিভিন্ন দেশের সাড়ে তিন লাখ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত এলাকায় এসব পঙ্গপালের বংশ বৃদ্ধি ঘটছে।”

এবছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট পর্যন্ত কোটি কোটি পঙ্গপাল পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে আক্রমণ করে ব্যাপক ফসল-হানি ঘটিয়েছে। “পঙ্গপালের আক্রমণের কারণে আমরা অনেক পশুচারণভূমি এবং গাছপালা হারিয়েছি আর একারণে এখনও আমাদের প্রচুর গবাদিপশু মারা যাচ্ছে,” বলেন কেনিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় একজন পশু খামারি গঞ্জোবা গুইয়ো।

বিবিসিকে তিনি বলেন, “পঙ্গপালের প্রকোপের কারণে আমি ১৪টি ছাগল, চারটি গরু এবং দুটো উট হারিয়েছি। এখনও ভীতি তৈরি হয়েছে যে আমরা আবারও একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারি কিম্বা এর পরিণতি আগের বারের চেয়েও খারাপ হতে পারে।”

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কর্মকর্তারা বলেছেন, তবে এই অঞ্চলের দেশগুলো পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখন আগেরবারের তুলনায় ভালোভাবেই প্রস্তুত রয়েছে।

তবে তারা বলছেন, এবার নজরদারি বেশি, প্রস্তুতিও ভাল- যেমন জমিতে কিম্বা বিমান থেকে কীটনাশক ছিটানো হয়েছে। তারা আরো বলছেন, ১০টি দেশের দশ লাখ একরেরও বেশি জমিতে পোকামাকড়ের উৎপাত ঠেকাতে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে এই ভীতিও তৈরি হয়েছে যে পঙ্গপালের ঝাঁক খুব বেশি বড় হলে তারা হয়তো নিরুপায় হয়ে পড়তে পারে।

 

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!