বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

সাংবাদিক মুহাম্মদ জুবায়ের-এর বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড লাভ



চ্যানেল এস-এর চীফ রিপোর্টার ও লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ জুবায়ের বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। ১৬তম এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো সাংবাদিককে কারি ইন্ড্রাস্ট্রির স্বার্থে মিডিয়ায় অনন্য ভূমিকার জন্য এই স্বীকৃতি প্রদান। একই সাথে এই ইন্ড্রাস্ট্রির পাশাপাশি বৃটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির কোভিড নাইনটিন কার্যক্রম বাস্তবতায় বিশেষ রিপোর্টিং-এর কথাও উল্লেখ করা হয় অনুষ্ঠানে। বিবিসিখ্যাত সাংবাদিক ও ডকুম্যান্টারী ম্যাকার রাগি ওমর অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী হিসেবে মুহাম্মদ জুবায়েরের নাম ঘোষণা করেন। এর সঞ্চালক ছিলেন খ্যাতিমান বৃটিশ কমেডিয়ান রোরি ব্রেমনার।

অ্যাওয়ার্ডস-এর প্রেজেন্টেশনে বলা হয়, মুহাম্মদ জুবায়ের একজন পরিশ্রমি ও মানবিক বোধ সম্পন্ন সাংবাদিক। তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে কমিউনিটির কল্যাণে সাংবাদিকতার মাধ্যমে অনন্য ভূমিকা রাখছেন। তার অনুসন্ধানি ও তথ্য ভিত্তিক রিপোর্টিং-এর মাধ্যমে বহু বিষয়ে কমিউনিটি আলোকিত হয়। জুবায়েরেররিপোর্টিং-এ প্রাধান্য পায় এথনিক ও মুসলিম কমিউনিটি। লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের মাধ্যমে ভলেন্টারি কাজেও তার সক্রিয়তা রয়েছে। তিনি ১৭ বছর যাবত ক্লাবের সাথে যুক্ত, বর্তমানে ২য় টার্মের জেনারেল সেক্রেটারি।

মুুহাম্মদ জুবায়ের তার বক্তৃতায় বলেন, আমি ১৫ বছর যাবত বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডে প্রায় সবগুলোর ইভেন্ট কভার করেছি। সব সময় আমার অবস্থান ছিলো স্টেজের উল্টো দিকে। বহু অ্যাওয়ার্ড  বিজয়ীকে নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট করেছি। কখোনো ভাবিনা আমিও স্টেজে যাবো, এই অ্যাওয়ার্ড পাবো। কিন্তু করোনা বাস্তবতায় আমাকেও মূল্যায়ন করা হলো। আমি অবশ্যই আনন্দিত, তবে কিছুটা অবাকও। ধন্যবাদ কমিউনিটিতে উচ্চমানের অ্য়াওয়ার্ড কালচারের প্রবর্তক এনাম আলী এমবিইকে।

কোভিড নাইনটিন বাস্তবতায় ১ম বারের মতো ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হলো বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস। কারি ইন্ড্রাস্ট্রির অস্কার পুরস্কার হিসেবে খ্যাত ব্রিটিশ এই অ্যাওয়ার্ডের ১৬-তম ব্যতিক্রমী আয়োজনটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় গত ১৭ ডিসেম্বর। জাস্ট ইটের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠানে কোনো একটি রেস্টুরেন্টের খাদ্যমানের স্বাদ ও গুণাগুণ বিচার করে দেয়ার পরিবর্তে ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হয় বিজয়ীদের হাতে। বিশেষ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন শতবর্ষী দবিরুল ইসলাম চৌধুরী ওবিই।

উল্লেখ্য, মুহাম্মদ জুবায়ের করোনায় আক্রান্ত হওয়া এবং আইসিইউ থেকে কয়েক মাস পর ফিরে আসা মানুষজনের কাহিনী নিয়ে নিউজ রিপোর্টিং-এর পাশাপাশি চ্যানেল এস-এর মাধ্যমে মিডিয়া প্রডাকশন ভিত্তিক মানবিক কাজেও অনন্যতার পরিচয় দিয়েছেন। কোভিড নাইনটিনে ‘ফিড ফাইভ থাউজেন’ নামের প্রজেক্টে কোঅর্ডিনেটর ছিলেন তিনি। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে ১৩ হাজার মানুষকে প্রায় ১২৬ হাজার পাউণ্ড বাজেটে ফোডপ্যাক প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ‘লাভ ফর এনএইচএস’-প্রজেক্টের মাধ্যমে বৃটিশ হেলথ ওয়ার্কারদের প্রদান করা হয় ১১৫ হাজার পাউণ্ড। এই প্রজেক্টেও ফাণ্ডরেইজিং পার্টনারদের সমন্বয় করেন তিনি। ২০১৯ সালে বহুল প্রশংসিত ‘সেইভ তাফিদা’ ক্যাম্পেইনে কালেকশন ছিলো ১৬০ হাজার পাউণ্ড। কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে চ্যানেল এসের মাধ্যমে এক কাতারে এনে এই ক্যাম্পেইন সফলতার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা ছিলো তাঁর। বৃটেনে চিকিৎসা না পাওয়া এবং মেইনস্ট্রিমে বহুল আলোচিত শিশু তাফিদা এখোনো ইটালিতে চিকিৎসা নিচ্ছে।

ইতোমধ্যে প্রেসক্লাবে নেতৃত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য কেনারিওয়ার্ফ-এর অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন জুবায়ের। এছাড়া সানরাইজ টুডে এবং ইস্টউড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বৃটিশ বাংলাদেশী টিভি নিউজে ‘বেস্ট রিপোর্টিং’-ক্যাটাগরিতে । তালিকাভূক্ত হয়েছেন বৃটিশ বাংলাদেশী পাওয়ার হান্ড্রেডস-এ ২০১৮ সালের নেক্স জেনারেশন পাবলিক্যাশন্স-এ।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!