আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপিতে ব্যবসায়ী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি

দেশে দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপিতে ব্যবসায়ী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। বিএনপির প্রার্থীদের প্রায় ৮৭ শতাংশই পেশায় ব্যবসায়ী, আর আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ী আছেন প্রায় ৭৩ শতাংশ।পেশায় ব্যবসায়ী বেশি হলেও বিএনপির প্রার্থীদের আয় ও সম্পদ তুলনামূলক কম। প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থীদের চেয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের আয় ও সম্পদ তুলনামূলক বেশি। অন্যদিকে এখন বেশি মামলা বিএনপির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। ৭৬ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা আছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে এখন মামলা আছে প্রায় ১৬ শতাংশের নামে।

দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি ৬২টি পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এগুলোর মধ্যে ৪৫টি পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর হলফনামা পাওয়া যায়নি।

দুই দলেই অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন প্রার্থী থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থী আছেন। অবশ্য দুই দলেই প্রার্থীদের একটি বড় অংশ উচ্চশিক্ষিত। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে ২১ জন এবং বিএনপিরও ২১ জন স্নাতক/স্নাতকোত্তর পাস। সর্বোচ্চ উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন ২৯ জন। শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে ১৫ জনের। কয়েকজন হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য উল্লেখ করেননি।

এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সব পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করেও একই চিত্র পাওয়া গিয়েছিল। অবশ্য হলফনামায় প্রার্থীরা সম্পদ ও অন্যান্য তথ্যের যে বিবরণ দেন, সেগুলোর সত্যতা নিয়ে অনেকেরই সংশয় আছে। হলফনামায় দেওয়া তথ্যও যাচাই করে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের ৪৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩২ জন তাঁদের পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন ব্যবসার পাশাপাশি কৃষিকেও পেশা দেখিয়েছেন। পেশা ‘রাজনীতি’ উল্লেখ করেছেন মাত্র একজন। তিনি সুনামগঞ্জ সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাদের বখত। শৈলকুপার কাজী আশরাফুল আজম পেশা উল্লেখ করেছেন ‘মেয়র হিসেবে জনসেবা’। আর মাধবপুরের শ্রীধাম দাশ গুপ্ত পেশা উল্লেখ করেছেন সমাজসেবা। এ ছাড়া আছেন আইনজীবী, শিক্ষক, সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক।

অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে ৩৯ জনই পেশা উল্লেখ করেছেন ব্যবসা। তাঁদের মধ্যে নয়জন ব্যবসার পাশাপাশি কৃষির সঙ্গেও যুক্ত। এর বাইরে পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী ও কৃষি।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ৮৯ জন মেয়র পদপ্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে ২৮ জনের বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকার বেশি। এর মধ্যে ২০ জনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। আর বিএনপির ৫ জন প্রার্থীর বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকার ওপরে। স্থাবর সম্পদ বাদ দিয়ে নগদ, সঞ্চয়সহ ১০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ আছে ৩৭ জন প্রার্থীর। তাঁদের মধ্যে ২২ জন আওয়ামী লীগের, আর ১৫ জন বিএনপির।

সুত্রঃ প্রথম আলো

শেয়ার করুন: