ফ্রান্স বনাম বেলজিয়াম লড়াই : কে কার মুখোমুখি?

আজ সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম দুই শক্তি ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম। যদিও লড়াইটা ১১ জনের বিপক্ষে ১১ জনেরই। দল হয়েই খেলবে এই দুই দল। তবুও তারকাসমৃদ্ধ এই দুই দলের মূলত ছয় খেলোয়াড়ের মধ্যে হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

আতোয়া গ্রিজম্যান বনাম রোমেলু লুকাকু

আঁতোয়ান গ্রিজমান-রোমেলু লুকাকু

আরেকটি টুর্নামেন্ট, যেখানে গ্রিজম্যান ফ্রান্সের হয়ে আরেকবার উজ্জল। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড ২০১৬ ইউরো কাপে ছয় গোল করে গোল্ডেন বুট অর্জন করেন। যদিও ফাইনালে তাঁর দল পর্তুগালের কাছে হেরে রানার্স আপ হয়। এবার তিনি এক ধাপ সামনে যেতে চাইবেন। গ্রিজম্যান এ পর্যন্ত রাশিয়া বিশ্বকাপে তিনটি গোল করেছেন। লুকাকুর চেয়ে এক গোল কম। গ্রিজম্যান এর আগে বড় টুর্নামেন্টগুলোর ৬টি নক আউট ম্যাচে মোট ৭টি গোল করেছেন।

ওদিকে লুকাকু বেলজিয়ামে তাঁর সবশেষ ১৩টি ম্যাচে ২০ গোলে অবদান রেখেছেন। এর মধ্যে ১৭টি নিজে করেছেন এবং তিনটি করিয়েছেন।

কিলিয়ান এমবাপে বনাম এডেন হ্যাজার্ড

কিলিয়ান এমবাপে-এডেন হ্যাজার্ড

টিনেজার এমবাপে বিশ্ববাসীকে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ৪-৩ গোলে ফ্রান্সের জয়ের নায়ক হয়ে।পিএসজির এই খেলোয়াড় তার বিধ্বংসী আক্রমণ দেখিয়েছেন। বিদ্যুত গতি এবং গোলের দিকে প্রখর দৃষ্টি দুটি গোল ও একটি পেনাল্টি পেতে তাকে সাহায্য করেছে। পেরুর বিরুদ্ধে গোল করার সময় তাঁর বয়স হয়েছিলো ১৯ বছর ১৮৩ দিন। ফ্রান্সের ইতিহাসে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় যিনি দেশের পক্ষে এতো বড় টুর্নামেন্টে গোল করলেন।

অন্যদিকে বেলজিয়ামের হয়ে দুটি গোল এবং দুটি অ্যাসিস্ট নিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার নায়ক দলটির ক্যাপ্টেন হ্যাজার্ড। এই দুই খেলোয়াড়ই বল দিয়ে ছুটতে পছন্দ করেন। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত টিকে থাকাদের মধ্যে এমবাপে এবং হ্যাজার্ড রয়েছেন ড্রিবলিংয়ের শীর্ষে। হ্যাজার্ডের ভাষায়, “এমবাপে যখন আরো ছোট ছিলেন তখন সে আমার ভিডিও দেখতো। তবে এই বয়সে এমবাপে যা অর্জন করেছে, এজন্য আমি তাকে সমীহ করি।”

পল পগবা বনাম কেভিন ডি ব্রুইনে

পল পগবা-কেভিন ডি ব্রুইনা

মধ্যমাঠের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য লড়বেন এই দুই ম্যানচেস্টার খেলোয়াড়। ইউনাইটেডের পগবা এবং সিটির ডি ব্রুইনে দুজনই মাঝ মাঠে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে চাইবেন। তাদের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ডি ব্রুইনে এ পর্যন্ত পগবার চাইতে তিনগুন বেশি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন।

তবে ফ্রেঞ্চম্যান পগবা আবার তার প্রতিপক্ষের চাইতে বেশিবার বল ছিনিয়ে নিয়েছেন। এখন ফুটবল ভক্তদের অপেক্ষা এই দুই ইউরোপীয় প্রতিবেশী পরাশক্তির লড়াই দেখার।

শেয়ার করুন: