দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ওয়ালশ-সাকিবের কন্ঠে

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই টেস্ট বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর। সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের ভালো করার চ্যালেঞ্জও আছে। আগের টেস্টে ব্যাটসম্যানদের নিদারুণ ব্যর্থতায় এক ইনিংস ও ২১৯ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

অ্যান্টিগায় ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশ হারায় ৫ উইকেট। সেই ধাক্কা আর সামাল দেওয়া যায়নি। লাঞ্চের লাঞ্চের আগেই দল গুটিয়ে যায় ৪৩ রানে। পরে ম্যাচ হারে দুই দিন আর এক সেশনেই।

জ্যামাইকায় তাই শুরুটা নিয়ে সতর্ক সাকিব। আগে ব্যাটিং হোক বা বোলিং, বাংলাদেশ অধিনায়ক সুরটা ঠিক করতে চান শুরুতেই।

সাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি

“আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা কতটা ভালো শুরু করতে পারছি, সেটি হবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটিং আগে করি বা বোলিং, শুরুটা খুব ভালো করতে হবে আমাদের। এরপর গতিটা ধরে রাখতে হবে। পাঁচ দিনের ম্যাচ। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন বেশিরভাগ সেশন আমরা জিততে পারি। একমাত্র সেভাবেই আমরা ম্যাচ জিততে পারি।”

অ্যান্টিগার হারের ক্ষত এত গভীর যে এখনই শুকিয়ে যাওয়া কঠিন। বাংলাদেশকে তা পোড়াচ্ছে এখনও। তার পরও দল যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী, জানালেন অধিনায়ক।

“খুবই হতাশার ছিল প্রথম টেস্ট। আমরা জানতাম কাজটা কঠিন হবে। তবে যেভাবে আমরা খেলেছি, তা ছিল গড়পড়তার নিচে। অবশ্যই আমাদের উন্নতি করতে হবে। এই মুহূর্তে ছেলেরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। যদিও আমরা আগের ম্যাচে ভালো করিনি। তবে এটি নতুন দিন, নতুন ম্যাচ। এই ম্যাচে ভালো করতে আমরা মুখিয়ে আছি।”

প্রথম টেস্টের পর এবারও আগ্রহের কেন্দ্রে থাকবে উইকেট। সবুজ উইকেটে বাংলাদেশের দুর্দশার পর জ্যামাইকায় একইরকম উইকেট থাকটা একরকম নিশ্চিতই। দুশ্চিন্তার ক্ষণে বাংলাদেশ দলের আশার আলো হয়ে এসেছেন দলের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। না, অভিজ্ঞ কোচ নিজে খেলতে নেমে যাবেন না! বরং নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান বিলিয়ে দেবেন শিষ্যদের কাছে। জ্যামাইকায় বেড়ে ওঠা ওয়ালশের বড় একটা সময় কেটেছে সাবিনা পার্কের ঘাসে পা মাড়িয়ে। এখানকার উইকেট সম্পর্কেও তাই তার রয়েছে ভালো ধারণা। তাই নিজের জ্ঞান শিষ্যদের মধ্যে পুরে দিয়ে ওয়ালশ খুঁজবেন কোচ হিসেবে সফলতা।

কোর্টনি ওয়ালশ। ফাইল ছবি

জ্যামাইকার স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলকে ওয়ালশ বলেছেন, ‘প্রথম টেস্ট খারাপ হয়েছে। আমরা ভালো করতে পারিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো খেলছে। তবে দ্বিতীয় টেস্টে আমরা ভালো খেলার ব্যাপারে আশাবাদী।’

এই স্যাবাইনা পার্কেই ২০০১ সালে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ওয়ালশ। এটি তাঁর নিজের জন্মভূমিও। ৫১৯ উইকেটের পাহাড়ে উঠে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ কিংবদন্তি। স্যাবাইনা পার্ক তাই ওয়ালশের ক্যারিয়ারের জন্য বিশেষ স্মৃতি। সেই স্মৃতি দলের পেসারদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে তাঁদের উদ্দীপ্ত করেছেন কি না—এই প্রশ্নের জবাবে ওয়ালশ বলেন, ‘হ্যাঁ, ওঁদের এই টেস্ট উপভোগ করতে বলেছি। বলেছি এটা পেসারদের জন্য বড় সুযোগ। নিজেদের প্রমাণ করো। আমি এই টেস্টের দিকে তাকিয়ে আছি।’

প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে হারায় এই ম্যাচে তাই এমনিতেই চাপে আছে বাংলাদেশ দল। ওয়ালশের কাছে এই ম্যাচটা বাংলাদেশ দলের জন্য ‘বড় পরীক্ষা। ভুলগুলো শুধরে নিয়ে নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে।’ অ্যান্টিগার মতো স্যাবাইনা পার্কেও পেসবান্ধব উইকেটের প্রত্যাশা করছেন ওয়ালশ, ‘অবশ্যই অ্যান্টিগার মতো উইকেট প্রত্যাশা করছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাঁদের সুবিধামতোই উইকেট বানাবে। এখানেও সিমিং উইকেটের প্রত্যাশা করছি।’

 

শেয়ার করুন: