রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে : সম্ভাব্য সব সহায়তাসহ দুই পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর



নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ বন্ধ করে ঘরে ফিরে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দিয়া ও রাজীবের পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন বাসচাপায় নিহত দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীবের স্বজনেরা। এ সময় দিয়া-রাজীবের স্বজনেরা এ আশা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী দুজনের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে সঞ্চয়পত্র প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এসব কথা জানান। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী দিয়া ও রাজীবের স্বজনদের সান্ত্বনা জানিয়ে বলেন, তিনি সম্ভাব্য সব সহায়তাসহ এ দুই পরিবারের পাশে থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রিয়জনকে হারানোর যে বেদনা, তা আমি বুঝি। কারণ, আমিও একরাতে আমার পরিবারের সব সদস্যকে হারিয়েছি। তাই সান্ত্বনা জানানোর ভাষা নেই।’

ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে সঞ্চয়পত্র প্রদান করেন।

দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর ফকির, দিয়ার মা, ভাইবোন এবং রাজীবের মা মহিমা বেগম রাজীবের বোনকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রেস সচিব বলেন, দিয়ার বাসচালক বাবা আবেগজড়িত কণ্ঠে পরিবহন খাতের এবং চালকদের কিছু সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। দিয়ার বাবা বলেন, অধিকাংশ চালককেই অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় এবং এ কারণে বারবার সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষা নূরুন্নাহার ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।

রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছাত্রছাত্রীদের পরিবহন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের পরিবহন সুবিধার্থে পাঁচটি বাস প্রদান এবং রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে বিমানবন্দর সড়কে একটি আন্ডারপাস নির্মাণে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তিনি নগরীর সব স্কুলের সামনে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন এবং স্পিড ব্রেকার নির্মাণের নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে, ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধে এবং মহাসড়কগুলোতেও চালকদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরিতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

ইহসানুল করিম বলেন, দিয়া ও রাজীবের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ বন্ধ করে ঘরে ফিরে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে গত রোববার বাসচাপায় নিহত হয় শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!