রাষ্ট্রপতি ঈদে অতিথিদের যা যা খাওয়ালেন

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ফাইল ছবি

মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মুখরোচক খাবার দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করেছেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে গরুর মাংস, মুরগীর মাংস, লুচি, পরোটা, পোলাও, দই বড়া, সেমাইসহ কয়েক পদের মিষ্টি দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করেন তিনি।

বুধবার বঙ্গভবনে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর এইসব খাবার দিয়ে তাঁদের আপ্যায়ন করা হয়।

এ সময় দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ‘অশুভ ও অকল্যাণকে’ পরিহার করে মানব কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কোরবানি মানুষকে ত্যাগের পাশাপাশি ধৈর্য্য ধারণের শিক্ষা দেয়। ব্যক্তি, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও ত্যাগ ও ধৈর্য্যের গুরুত্ব অপরিসীম। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও পরমতসহিষ্ণুতা প্রদর্শনের মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারে একটি সমতাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা। আসুন, কোরবানির শিক্ষা কাজে লাগিয়ে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলি। সাম্য আর মৈত্রীর বন্ধন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক- এ প্রত্যাশা করি।

তিনি বলেন, মানবতাই ধর্মের মূল বাণী। ধর্ম মানুষকে ন্যায়-নীতি ও কল্যাণের পথ দেখায়। মানবসেবার দিকনির্দেশনা দেয়। তাই সকল অশুভ ও অকল্যাণকে পরিহার করে মানব কল্যাণে আমাদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত জর্জ কোচেরি, যুক্তরাষ্ট্রে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সংসদ সদস্য, উচ্চ আদালতের বিচারক, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীসহ গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

শেয়ার করুন: