২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলট-৩ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। টানা দশ বছল ছিলেন ওই এলাকার সাংসদ। এবার আবার একই আসনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
সাংসদ থাকাকালে গত দশ বছরে ব্যবসা বেড়েছে কয়েসের। ২০০৮ সালে ছিলো তিনটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এখন তাঁর একক ও অংশীদারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পাঁচটি। তবে ব্যবসা বাড়লেও নিজের আয় কমেছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন কয়েস। যদিও এসময়কালে বেড়েছে তাঁর স্ত্রীর আয়।
নির্বাচন কমিশনে ২০০৮ ও ২০১৮ সালে জমা দেওয়া কয়েসের হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনার তথ্য অনুযায়ী, কৃষিখাত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সংসদ সদস্য সম্মানী হিসেবে বর্তমানে মাহমুদ উস সামাদের বাৎসরিক আয় ৪৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। আর তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বার্ষিক আয় ১৮লাখ ৬ হাজার টাকা। দশ বছর আগে কয়েসের বার্ষিক আয় ছিলো ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৩৫টাকা। স্ত্রীর আয় ছিলো ৯ লাখ টাকা।
মাহমুদ উস সামাদের বর্তমানে অস্থাবর সম্পদ আছে ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। দশ বছর আগে তার অস্থাবর সম্পদ ছিলো ১২ কোটি ৩৩লাখ ৮৪২টাকা। স্ত্রীর নামে ছিলো ১ কোটি ১৩ লাখ ৩ হাজার ৫৯০ টাকা আর বর্তমানে আছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৯১হাজার ৭১০টাকা।
দশ বছর আগে মাহমুদ উস সামাদের নিজ নামে স্থাবর সম্পদ ছিলো ১ কোটি ৫০ লাখ ৬০হাজার ২০০ টাকা মূল্যের। বর্তমানে তার স্থাবর সম্পদ আছে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৫টাকা। স্ত্রীর নামে আছে ৯০ লাখ ৯২ হাজার ২২৫টাকা।
আওয়ামী লীগের এ প্রার্থীর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ৬টি ব্যাংকে একক ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে ঋণ ছিলো ৭১ কোটি ৯১ লাখ ৫৫টাকা। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭০ কোটি ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪টাকা।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় একটি মামলা ছিলো সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর। একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী বর্তমানে ২টি মামলা চলমান আছে তাঁর নামে। এর সবকটিই শুনানীর পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া গত দশ বছরে ৬টি মামলার আসামী হয়েছিলেন তিনি তবে এসব মামলায় খারিজ হয়েছে উল্লেখ করা আছে হলফনামায়।
গত রোববার কয়েসের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।