সিলেট-৩ আসনে নীরব প্রচারে এগিয়ে আওয়ামী লীগ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট- ৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ বালাগঞ্জ) আসনে প্রচারণায় আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এগিয়ে আছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ এবং বিএনপির প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী।

এ আসনে এ পর্যন্ত নির্বাচনের কোন আমেজ দেখা না গেলে ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা প্রতিদিন তাদের নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছন। যদি ও এ আসনে গতকাল পর্যন্ত কোন প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস হয়নি। আজ ১০ ডিসেম্বরের পর প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী অফিস করার পাশাপাশি প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার প্রচারণা শুরু হবে বলে তাঁদের সমর্থকরা জানিয়েছন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সিলেট-৩ আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, খেলাফত মজলিস সহ ৭ জন প্রার্থী। তবে মহাজোট এবার ও এ আসনটি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ কয়েস কে দিয়ে দেয়। যদি ও এখানে জাতীয় পার্টির  আতিকুর রহমান আতিকের মনোনয়ন পাওয়ার জোর সম্ভাবনা শোনা গিয়েছিল। প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সংসদ মাহমুদ উস সামাদ ও বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী, বিরোধী দলীয় নেতৃর উপদেষ্টা সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হক, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মোহাম্মদ দেলোয়ার মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়ন বাছাইয়ে এ আসনে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরে অবশ্য আপিলে মনোনয়ন ফিরে পান তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির শফি চৌধুরী ছাড়া বাকিরা বাদ পড়েন হাইকমান্ডের সিন্ধান্ত মতে। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শুধু  ধান আর নৌকা। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শফি চৌধুরীকে পরাজিত করে সংসদ নির্বাচিত হন কয়েস। 

জানা গেছে, রাজনৈতিক সমঝোতার কারণে জাতীয় পার্টির  আতিকুর রহমান আতিকের সমুহ সম্ভাবনা থাকলে ও শেষ পর্যন্ত মাহমুদ উস সামাস চৌধুরী কয়েস টিকেট নিয়ে আসেন। আতিকুর রহমান আতিক টিকেট না পাওয়ায় বেশ কিছু কর্মী ও সমর্থক তাতে হতাশা প্রকাশ করেন। কারণ ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ বেশ কিছু দিন থেকে কয়েক ভাগে বিভক্ত। তাই বিদ্রোহীরা চেয়ে ছিলেন আতিক ই যেন টিকেট পান। শেষ পর্যন্ত তাদের সেই চাওয়া বিফলে যায়।

দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট -৩ আসনে মোট ভোটার ৩লক্ষ ২২ হাজার ২৯৩ জন। সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এবং অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির শফি চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, বৈধ প্রার্থীরা ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। ১০ ডিসেম্বর প্রতিক বরাদ্দ করা হবে। প্রার্থীরা ১১ডিসেম্বর থেকে প্রচারে নামবেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহন হবে।

শেয়ার করুন: