কুশিয়ারা নদীতে ভাঙন অব্যাহত, আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে শতাধিক পরিবার

রাক্ষুসী কুশিয়ারা নদীর ভাঙন আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবার। অব্যাহত নদী ভাঙনের ফলে অনেকের বাড়ি-ঘর বিলিনের পথে দাঁড়িয়েছে। গত মঙ্গলবার বালাগঞ্জ-শেরপুর কুশিয়ারা ডাইক আকস্মিকভাবে বিশাল ফাটল ধরে। এ ফাটলের ফলে কয়েকটি গ্রামের সাথে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এলাকাতে সতর্কতা জারি প্রদান করেন বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি স্থানীয়দের অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন উপজেলা প্রশাসন।

জানা যায়, কুশিয়ারা নদীতে বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তলনের ফলে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নদীর উভয় পাশে ভাঙনের কবলে পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের অনেক পরিবার। কয়েকটি বাড়িও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের শিকার হয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্ষতিগস্থ পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে বিশাল ফাটল ধরে বালাগঞ্জ-শেরপুর কুশিয়ারা ডাইক। এ ফাটলের ফলে কয়েকটি গ্রামের সাথে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এলাকাতে সতর্কতা জারি প্রদান করেন বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছেন – বালাগঞ্জ উপজেলার হামছা পুর, রাধাকোন, ভাটপাড়া গালিমপুর, জলালপুর, কুশিয়ারা বাজার (প্রেমবাজার) ও ওসমানীনগর উপজেলার আদমপুর, খছরুপুর, শেরপুর নতুনবাজার, তাজপুর, লামা তাজপুর, সুরিকোনাসহ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবার। এলাকাবাসির দাবি ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের কুশিয়ারা নদীপাড়ের হাজারো মানুষ।

অভিযাগ রয়েছে, বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও মূল হোতারা সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এলাকার বসতবাড়ি, কুশিয়ারা ডাইক ও আবাদি জমি বিলীন হওয়ার উপক্রম।

অন্যদিকে বালাগঞ্জ উপজেলার সদর, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার পারকুল গ্রাম, শেরপুর পাওয়ার প্লান্ট, শেরপুর ব্রিজের আশপাশ এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কুশিয়ারা ডাইক ভাঙনের ব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুমন চন্দ্র দাশ জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরির্দশন করা হয়েছে। এলাকা থেকে কয়েকটি পরিবারের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙনকৃত স্থান মেরামতের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিটি প্রদান করা হয়েছে।

শেয়ার করুন: