গভীর রাতে শ্মশানে মৃতদেহ তুলে তান্ত্রিক সাধনা, পাঁচ কিশোর গ্রেপ্তার

ঢাকার পোস্তগোলা শ্মশান।

গভীর রাতে শ্মশানে গিয়ে মাটি খুড়ে সদ্য মারা যাওয়া এক নবজাতকের মৃতদেহ বের করে আনে পাঁচ কিশোর। এরপর তারা মাথা বিচ্ছিন্ন করে লাল রঙ মেখে তন্ত্র সাধনা শুরু করে।

তখন আশেপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

সোমবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে ঢাকার পোস্তগোলায় জাতীয় শ্মশানে।

শ্যামপুর থানার ওসি মোঃ: মিজানুর রহমান বলছেন, সোমবার ঢাকার একটি হাসপাতালে ঠাঁটারিবাজার এলাকার একজন ব্যবসায়ীর সন্তান জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায়। রাতে সেই শিশুটিকে পোস্তগোলার শ্মশানে সমাধি করা হয়।

”রাত ২টার দিকে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সের পাঁচ কিশোর সেই সমাধি খুড়ে শিশুটির মৃতদেহ বের করে আনে। এক পর্যায়ে তারা ধারালো ছুরি দিয়ে শিশুটির গলা কেটে লাল রঙ মেখে তান্ত্রিক সাধনা করতে শুরু করে।”

তখন শ্মশানে থাকা আশেপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে তাদের ঘিরে ফেলে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ পাঁচজনকেই আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

থানায় জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছে যে, এরকম সাধনা করলে নাকি তারা অলৌকিক শক্তির অধিকারী হতে পারবে। এই চিন্তা থেকে তারা ওই সাধনা করেছে।”

তবে মৃতদেহ শ্মশানে থেকে তুলে সাধনা করার কোন বিধান হিন্দু ধর্মে নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শ্যামপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলছেন, “তারা এই প্রথম এরকম চেষ্টা করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে।”

তবে এখানকার শ্মশানে বা আমার চাকরির অভিজ্ঞতায় এ ধরণের ঘটনার কথা আর শুনেন নি বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন তিনি।

আটক কিশোরদের সবার বাবা ডোম, যারা মৃতদেহ কাঁটাছেড়া বা শ্মশানের মৃতদেহ পোড়ানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে পুলিশ বলছে।

বুধবার এই কিশোরদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিবিসি

শেয়ার করুন: