রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু বিশ্ব ইজতেমা



বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দিকে মুসল্লিদের ঢল। ছবি: আবদুস সালাম

শুক্রবার ফজরের নামাজের পর টঙ্গীর তুরাগতীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা। এরই মধ্যে দেশ-বিদেশের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে সমবেত হয়েছেন।

বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটি সূত্র জানায়, শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক শূলের উর্দুতে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। এই বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা নূরুর রহমান।

এবারে ৬৪ জেলার মুসল্লিদের জন্য পুরো ময়দানকে ৫০টি খিত্তায় (ভাগে) ভাগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথে আসতে থাকা মুসল্লিদের ঢল শুক্রবারও অব্যাহত আছে।

আজ দুপুর দেড়টার দিকে ইজতেমা ময়দানে বৃহত্তর জুমার নামাজ আদায় করা হবে। এতে ইমামতি করবেন কাকরাইলের মাওলানা মো. জোবায়ের। জুমায় লাখো মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ছুটির দিন থাকায় গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি জুমার নামাজে অংশ নেবেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাব কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করেছে। সিসিটিভি ক্যামেরা মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের সদস্যরা কয়েকটি স্তরে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। খিত্তায় খিত্তায় অবস্থান করছেন সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

প্রতিবার ইজতেমার ব্যবস্থাপনায় মুসল্লিরা থাকলেও এবার থাকছে প্রশাসন। সম্প্রতি মাওলানা জোবায়ের ও দিল্লির সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দিলে প্রশাসনের নির্দেশনায় এবার ইজতেমা চার দিন করা হয়। শুক্র ও শনিবার জোবায়েরপন্থী মুসল্লিদের এবং রবি ও সোমবার হবে সাদ কান্ধলভীপন্থী মুসল্লিদের ইজতেমা। দুই পর্বের আখেরি মোনাজাত শনি ও সোমবার।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!