লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের আয়োজন ‘অহংকারের একুশ’

সারওয়ার-ই আলম : ব্রিটেনের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে পড়তে অন্যান্য বিদেশী ভাষার প্রতি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ না কমলেও বাংলার প্রতি তাদের আগ্রহ আশঙ্কাজনকভাব হ্রাস পেয়েছে। বাংলা ভাষা-শিক্ষক ও বিশ্লেষকগণ এর কারণ হিসেবে দায়ী করছেন অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব, শ্রেণীকক্ষে বাংলা শিক্ষাদানে পর্যাপ্ত উপকরণ না থাকা, বাংলা না পড়ে স্প্যানিশ, ফরাসী কিংবা জার্মান নিয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত জীবনে অধিকতর সাফল্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে অমূলক ধারণা ইত্যাদিকে।

‘অহংকারের একুশ’-এ শিরোনামে পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি সেন্টারে লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ভাষা আলোচনায় বক্তাগণ ব্রিটেনে বিরাজমান এ বাংলা ভাষা-সংকট নিরসনে অভিভাবক, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কাউন্সিলর, কমিউনিটি নেতৃবন্দ ও বাংলা গণমাধ্যমগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সৈয়দ আফসার উদ্দীন উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন গোলাম মোর্তুজা, সৈয়দা সায়মা আহমেদ, মুহিব চৌধুরী, সৈয়দ নাহাস পাশা, নবাব উদ্দিন , মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ প্রমুখ।

একুশের গানের রচয়িতা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ভাষা হিসেবে বাংলাকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করতে হলে ব্যবহারিক বাংলাকে সহজলভ্য করা উচিত বলে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জোবায়ের’র পরিচালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী ও সহ-সভাপতি ব্যারিষ্টার তারেক চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’ গানের মাধ্যেমে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক পর্ব পরিচালনা করেন নাজমুল হোসাইন ও রুপি আমিন।

কবিতা আবৃত্তি করেন ঊর্মি মাযহার,শহীদুল ইসলাম সাগর, ডা. জাকি রেজওয়ানা আনোয়ার, দিলু নাসের, মুনিরা পারভীন, আমিমুল আহসান তানিম, ইয়াছমিন সুলতানা পলিন মাঝি, মিসবাহ জামাল।

সঙ্গীত পরিবেশন করেন মোস্তফা কামাল মিলন, ববি রায় ও ডা. শম্পা দেওয়ান। অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্য প্রয়াত কবি আল মাহমুদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে এলবি টিভি।

শেয়ার করুন: