এ উপজেলায় ৮০হাজার ৬শ’ ৯ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ২শ ২৮ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছেন ৪০ হাজার ৩শ ৮১ জন। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ভোটার তাঁদের মনোনীত প্রার্থী বাছাই করে রায় দিবেন কারা হবেন আগামীদিনের পছন্দের জনপ্রতিনিধি।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ভোটারদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ থেকে (নৌকা) প্রতিক নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর। জাতীয় পার্টি আবদুর রহিম (লাঙ্গল) প্রতীক নিয়ে। তাছড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান, বিএনপির সদ্য বহিস্কৃত নেতা আবদাল মিয়া (ঘোড়া) ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপির সদ্য বহিস্কৃত নেতা মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী (আনারস) প্রতীক নিয়ে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী থাকলেও মূল আলোচনায় রয়েছেন – মোস্তাকুর রহমান মফুর, আবদাল মিয়া ও মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী। এর মধ্যে
আওয়ীমী লীগের একক প্রার্থী থাকায় মোস্তাকুর রহমান মফুর সুবিধা জনক অবস্থনের রয়েছেন বলে সচেতন মহল ধারণা করছেন।
ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ায় আবদাল মিয়া ও গোলাম রব্বানীকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। যার কারণে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি অংশ নির্বাচনে নিরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছেন। আরেকটি অংশ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুহাম্মদ গোলাম রব্বানীর পক্ষে মাঠে কাজ করছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী তাদের অতীত ঐতিহ্য পুনঃরুদ্ধারে করতে মাঠে মরিয়া। নির্বাচনে যদিও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে আছেন আবদুর রহিম। তবে মাঠের জনপ্রিয় তিন প্রার্থীর কারণে তিনি কোন সুবিধা করতে পারছেন না।
এছাড়া নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হচ্ছেন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী (টিউবওয়েল), সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা মো. সামস্ উদ্দিন সামস্ (চশমা), শ্র্র্র্রমিক নেতা সুজিত চন্দ গুপ্ত বাচ্ছু (বাল্ব), যুব নেতা শেখ নুরে আলম (মাইক) ও ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মোস্তাক আহমদ (তালা)। এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. কুলসুমা বেগম (পদ্মফুল), সেবু আক্তার মনি (ফুটবল) ও সুক্তি রানী দাস (কলস)।
নির্বাচনকে ঘিরে বালাগঞ্জের সর্বত্র কেবল প্রার্থী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসবমূখর অবস্থা বিরাজ করলেও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন উৎসাহ উদ্দীপনা
নেই। বিভিন্ন হাটে-মাঠে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে কিছুটা আলোচনা রয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনে স্বস্ব প্রতিক নিয়ে জয়ের মাধ্যমে ইতিহাস রচনা করতে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্চেন। তাঁদের নিজ নিজ সমর্থক স্ব-স্ব প্রার্থীদের বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি। এতকিছুর পরও নির্বাচনে কে হারবেন আর কে জিতবেন বালাগঞ্জবাসী রায় দেবে আগামীকাল সোমবার।