রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ডাক্তার ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা

ফেঞ্চুগঞ্জে এখনো চালু হয়নি ৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম



ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু শয্যা উন্নীত করলেও বাড়েনি চিকিৎসক ও সহকারী কর্মী। এ ব্যাপারে অন্যতম কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: সুমন বলেন – যদি ও সেবার মান কিছুটা বেড়েছে, তবে কর্মী সংকটের কারণে সঠিক সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান প্রতিদিন রোগির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।  ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় সোয়া লাখের মতো। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য রয়েছে মাত্র একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেখানে প্রতিদন ১৫০ থেকে ২০০ রোগি চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক সংকট থাকায় সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না রোগীরা। এ অবস্থা থেকে উওরণ সহ স্বাস্থ্য সেবায় উন্নয়ন চান উপজেলাবাসী।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী তিন উপজেলার বেশির ভাগ রোগি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। বর্তমানে যে ডাক্তার রয়েছেন তা দিয়ে আগের ৩১ শয্যা চালানো যায়। তাই ভালো মানের চিকিৎসাসেবার জন্য কর্মী সংকট বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। শুধু বহির্বিভাগে গড়ে ১০০/১৫০ জন রোগি সেবা নিতে আসেন। এবং আন্তঃবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ২০/২৫ জন রোগি প্রায়ই ভর্তি থাকেন। পাশাপাশি জরুরী বিভাগে সব সময় রোগির চাপ থাকে। বিশাল রোগির এই চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের। দিন রাত সেবা দিয়ে ও রোগিদের মন যোগাতে পারছেন না
কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা। এছাড়া কর্মী সংকটের কারণে পরিস্কার পরিছন্নতা ও ব্যাহত হচ্ছে।

রয়েছে উন্নত যন্ত্রাংশের সংকট ও কনসালটেন্টের অভাব। যার ফলে একটু জটিল কিছু হলেই পাঠিয়ে দেয়া হয় সিলেটে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শফিকুল ইসলাম বলেন, কেন ৫০শয্যা চালু হয়েছে তা বলতে পারবনা। তবে এ মুহূর্তে আমার স্টাফ বেশি জরুরী এবং তার চেয়ে বেশি জরুরী ক্লিনার। তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনীয় স্টাফ থাকলে একজন ডাক্তার অনেক সেবা দিতে পারে। স্টাফ সংকট সমস্যা সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।

এ ব্যাপারে আরো জানতে চাইলে সিলেট সিভিল সার্জন ডা: হিমাংশু রায় বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ সহ আরো কয়েকটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। সেসব জায়গায় কনসালটেন্ট, ডাক্তার, ও স্টাফ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। কবে নাগাদ হবে জানতে চাইলে বলেন, আরো কম পক্ষে
ছয় মাস লেগে যেতে পারে। তখন জনগণ যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন