ঈদের বাকী আর মাত্র সপ্তাহ দশ দিন সময়। তবে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের অলিগলি মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠছে। রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। শিশ্ত- কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী নারী পুরুষের আগমনে উপজেলার একমাত্র বাজারটিতে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। ফেঞ্চুগঞ্জের উচ্চবিত্তরা জেলা শহরের অভিজাত মার্কেট থেকে কেনাকাটা করলে ও মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা উপজেলার বিপণিবিতান গুলোতে ঈদের পছন্দের পোশাকটি কেনার জন্য এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ছুটছেন।
ফেঞ্চগঞ্জে সাম্প্রতিক বছরে কয়েকটি আধুনিক শপিং সেন্টার গড়ে উঠায় সীমান্ত ঘেষা পার্শ্ববর্তী বালাগঞ্জ, রাজনগর, গোলাপগঞ্জ, কুলাউড়ার মানুষরা
ঈদে নতুন জামা কাপড় কেনার জন্য ফেঞ্চুগঞ্জে ছুটে আসেন। ঈদে আনন্দের অবিচ্ছেদ অংশ হলো নতুন পোশাক – শাড়ি, থ্রি-পিছ, শার্ট, পেন্ট,পাঞ্জাবি, জুতা ইত্যাদি উৎসব প্রিয় মানুষেরা ঈদে কেনেন। মার্কেটগুলো ঘুরে এসব পন্য কিনতেই দেখা গেছে।
কিন্তৃ এবার ভিন্ন চিত্র দেখা গেলো কাপড়ের দোকান গুলোতে। যেখানে নেই কোন ভারতীয় নায়িকার নামের ড্রেস, বা ট্রপস বা পার্টি ড্রেস। সরজমিনে গত ষোল রমজান ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার প্রধান বাজারের বিপণিবিতান গুলোতে উপছেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। উপজেলা বাজারের শপিংমল সহ বেশ কয়েকটি নামিদামি কাপড়ের দোকানে ভিড় চোখে পড়ার মতো। তার মধ্যে রাজ্জাক ক্লথ, তিতন বাদ্রার্স, কুশিয়ারা শাড়ি এন্ড সাজঘর সহ অলিগলিতে উপছে পড়া ভিড় দেখা গেছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসবে ভিড় ততই বাড়বে বলে জানান দোকানিরা।
রাজ্জাক ক্লথের পরিচালক আজাদ মিয়া জানান, এবার ভারতীয় কোন পোশাকের নামে কোন চাহিদা নেই। আর তারা সে রকম কোন পোশাক আনেননি। যা আছে তা দেশে তৈরি বলে জানান। তার এখানে এক একটি ড্রেসের দাম ৮০০/থেকে ২৫০০০ হাজারের মধ্যে ও আছে বলে জানান। তবে বেশিরভাগ ড্রেস জর্জেট কাপড়ের তৈরি আর এই ঈদে এটার চাহিদা বেশি বলে জানান।
আবার তিতন বাদ্রর্সের পরিচালাক বিষ্ণু দেবনাথ বলেন, একেক জনের একেক রকম কাপড়ের চাহিদা। তাঁর দোকানে সব রকমের শাড়ি রয়েছে তার মধ্যে সফট জর্জেট, কাতান, সাউথ কাতান, জামদানি, ভাটিপিয়ারি, মানচুরি,সীমার, তিসমার অন্যতম। এসব শাড়ি গুলো প্রকারভেদে ১০/ হাজার থেকে ২৫০০০ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে। জামদানি ২৫০০/থেকে ৬০০০ দাম চাওয়া হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে বিক্রির ব্যস্ততা আরো বাড়বে বলে মনে করেন দোকানিরা।