সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের মাদরাসা বাজারে গবাদিপশুর হাটে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা। ফলে করোনার ঝুঁকিতে ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, সপ্তাহে দুই দিন শুক্র ও সোমবার স্থানীয় মাদরাসা বাজারে গবাদিপশুর হাট বসে। এই দুইদিন গবাদিপশু কেনাবেচার জন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষের ভীড় লেগেই থাকে এ বাজারে। বেচাকেনা করতে আসা লোকজন মানছেন না কোন সামাজিক দুরত্ব, কারো মুখেও নেই মাক্স। ফলে সমগ্র উপজেলাজুড়ে দ্রুতই করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গত শুক্রবার (১৯ জুন) ও সোমবার (২২ জুন) এমন চিত্র দেখা গেছে ওই গবাদিপশুর হাটে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও এলাকায় মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাক্তিবর্গকে নানান পদক্ষেপ নিয়েও হিমসিম খেতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিন মৃত্যুর হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সর্বোপরি কোন পদক্ষেপই কার্যত কোন কাজে আসছেনা। সেখানে একমাত্র সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মানা ও অতি প্রয়োজনে বাহিরে বের হলে মাক্স এর ব্যাপারে অতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গহরপুরে এমন একটা বৃহৎ গবাদিপশুর হাট বসিয়ে করোনা সংক্রমণের হার বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেককে এটিকে ‘গবাদিপশুর হাট না করোনার হাট’ বলে মন্তব্য করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, ‘রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকায় তখন সাধারণ জনগণের কি আর করার আছে’। এছাড়াও আরো অনেককেই বিভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা গেছে। করোনার এই মহামারিতে গহরপুরের বৃহৎ এ জনসমাগম উপজেলাজুড়ে সংক্রমিত হবার আগে সরকারের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।