মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

কাতার কিভাবে সোজা করব

নামাজের কাতার তিন হাত বা কমপক্ষে পৌনে তিন হাত চওড়া করবে, যাতে সুন্নত তরিকা মোতাবেক সিজদা করা সম্ভব হয়। অনেক মসজিদে দুই বা আড়াই হাত চওড়া কাতার করা হয়, যার মধ্যে স্বাভাবিকভাবে সিজদা করা সম্ভব হয় না। মাথা সামনের মুসল্লির পায়ে আটকে যায়। (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৪৯৬, আবু দাউদ, হাদিস : ৮৯৮)

কাতারের দাগের ওপর পায়ের গোড়ালি রেখে কাতার সোজা করবে। এটাই বিশুদ্ধ পদ্ধতি। অনেক স্থানে দাগে আঙুল রেখে কাতার সোজা করা হয়, এতে কাতার কখনো সোজা হয় না; বরং যার পা লম্বা সে পেছনে থাকে, আর যার পা খাটো সে সামনে চলে যায়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৬৬৭, রদ্দুল মুহতার : ১/৫৬৭)

কাতার মাঝখানে থেকে শুরু হয়ে সমানভাবে ডানে-বাঁয়ে বাড়াতে থাকবে। এটাই নিয়ম। অনেকে বাতাসের লোভে এ নিয়ম ভঙ্গ করে সামনের কাতার খালি থাকা সত্ত্বেও পেছনে পাখার নিচে দাঁড়ায়। কাতার হিসেবে তার কোথায় দাঁড়ানো উচিত এর কোনো পরোয়া করে না। এটা সুন্নতপরিপন্থী কাজ। কোনো কোনো মাজহাবে এসব ভুলের কারণে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। আবার কোনো কোনো লোক এমনও দেখা যায় যে মসজিদে অনেক আগে এসে সামনে খালি পাওয়া সত্ত্বেও পেছনে বসে থাকে। তাদের এ কাজের হিকমত বোধগম্য নয়। আবার কেউ সবার শেষে এসে সামনে খালি না থাকা সত্ত্বেও মানুষের কাঁধ টপকে সামনে যায়। তারপর জায়গা না পেয়ে দুজনের ঘাড়ে সওয়ার হয়। এটা খুবই গর্হিত কাজ। হাদিসে এসেছে যে এরূপ করল সে যেন জাহান্নামে যাওয়ার জন্য একটি পুল তৈরি করল। (মুসলিম শরিফ : হাদিস : ৪৩০, আবু দাউদ, হাদিস : ৬৭১, তিরমিজি, হাদিস : ৫১২)

কালের কন্ঠ

শেয়ার করুন: