ওসমানীনগরে পিতৃহীন শিশুদের জন্য খুদ্দামুল কুরআন সংস্থার পাকাঘর উপহার

ওসমানীনগরের খুদ্দামুল কুরআন সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, জটিল রোগে মৃত্যুবরণকারী স্থানীয় খাগদিওর গ্রামের আব্দুল মুমিন সাবুল মিয়ার পিতৃহীন শিশুদের জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে পাকাঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। সংস্থার উপদেষ্টা, আজীবন সদস্য, সাধারণ সদস্য, প্রবাসী সদস্য এবং সুধিজনের অর্থায়নে সংস্থার উদ্যোগে প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে এ ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকালে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে পাকাঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসটিএম ফখরউদ্দিন। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুদ্দামুল কুরআন সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি মাওলানা সিকন্দর আলী। মোনাজাত পরিচালনা করেন সংস্থার সাবেক সভাপতি মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন।

খুদ্দামুল কুরআন সমাজকল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন – সংস্থার উপদেষ্টা সদস্য আফরুজুল হক মেম্বার, আবরার মোস্তফা খান, কামাল আহমদ, জাহেদুল ইসলাম খান, ব্যবসায়ী রাজু মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির লায়েক, সহ-সভাপতি আবু বকর, প্রচার সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন, সহ প্রচার সম্পাদক ফয়ছল আহমদ, অর্থ সম্পাদক আবরার আহমদ আব্দুল আলী, সহ অর্থ সম্পাদক আমিনুর রহমান জুনেদ, সাহিত্য সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন তারেক, সদস্য আনহার হোসেন, বেলাল আহমদ, আব্দুল আজিজ সুমন, মোহাইমিন চৌধুরী, খালেদ আহমদ প্রমুখ।

খুদ্দামুল কুরআন সমাজ কল্যাণ সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রয়াত আব্দুল মুমিন সাবুল মিয়া সংস্থার একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং এলাকার ধর্মীয় ও সমাজসেবামূলক কাজে নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। নিজের আর্থিক অস্বচ্ছলতা সত্ত্বেও তিনি সব সময় গরিব-দুঃখী মানুষের সেবায় কাজ করতেন। প্রয়াত আব্দুল মুমিন সাবুল মিয়া ২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর লিভারজনিত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার এক কন্যা ও তিন ছেলে সন্তান রয়েছে। আব্দুল মুমিন সাবুল মিয়ার আকস্মিক মৃত্যুর পর তার স্ত্রী এবং ৪টি শিশু সন্তানের প্রয়োজনীয় বাসস্থান না থাকায় সংস্থার পক্ষ থেকে এ পাকাঘর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। গত বছর ২০২০ সালের ৩জানুয়ারি এ ঘরের ভিত্তিস্থাপনের পর ৩ লাখ ২৮ হাজার ৫শ ৫০টাকা ব্যয়ে এ পাকাঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।

সংস্থার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আব্দুল মুমিন সাবুল মিয়া তার জীবদ্দশায় এলাকার আর্ত-মানবতার সেবায় যেভাবে কাজ করে গেছেন তা কোনদিন হারিয়ে যাবে না।

শেয়ার করুন: