আগামীকাল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: বালাগঞ্জের বিদ্যাপীঠে উৎসবের আমেজ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেড় বছর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে কয়েক দফায় বাড়ানো হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খুলার ঘোষণা আসার পরপরই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন ধরণের প্রস্তুতি।

সারাদেশের ন্যায় সিলেটের বালাগঞ্জেও শুরু হয়েছে স্কুল খুলার প্রস্তুতি। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষ, বেঞ্চ, ফ্লোর, মাঠ পরিষ্কার সহ আনুষাঙ্গিক সকল কার্যক্রমই শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

বালাগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্কুল খোলার বিষয়ে তারা উপজেলার সবকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণের সাথে বৈঠক করে বিভিন্ন বিষয়ে অবগত করেছেন। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় লেগে থাকা ঝোপঝাড় পরিষ্কার এবং ডেটল ও স্যাবলন দিয়ে যাতে বেঞ্চ পরিষ্কার করা হয় এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷ ইতোমধ্যে তারা এ নির্দেশনা গুলো বাস্তবায়ন করে বিদ্যালয় খুলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলার ঘোষণায় উচ্ছাস দেখা দিয়েছে উপজেলার শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পদচারণনায় মুখরিত হয়ে যেনো প্রাণ ফিরবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে।

বালাগঞ্জের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলার সংবাদে উচ্ছ্বসিত তারা। আবারও এক সাথে শ্রেণিকক্ষে বসে ক্লাস করতে পারবে জেনে তারা আনন্দে আত্মহারা।

বালাগঞ্জে মোট ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। উপজেলার একাধিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যালয় গুলোতে বেশ কর্মযজ্ঞ চলছে। স্কুলের মাঠের লম্বা ঘাস কেটে ছাঁটাই করা হচ্ছে।

উপজেলার মৈশাসী অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অপূর্ব দাস বলেন, দীর্ঘ দিন পর বিদ্যালয় খুলায় আমরা সবাই সত্যিই আনন্দিত, দীর্ঘ দিন পর প্রাণ ফিরে পাবে বিদ্যালয় গুলো, ইতোমধ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

শিক্ষক আব্দুস শহীদ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

দেওয়ান আব্দুর রহিম হাই স্কুল এন্ড কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলায় আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ খুবই আনন্দিত। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বেশ উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রকীব ভূইয়া বলেন, উপজেলার ৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। আশা করি স্কুল খুলার আগেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বজলুর রশীদ বলেন, আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে কঠোর নজরদারি দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে স্কুল প্রধানদের নিকট আমরা চিঠি দিয়েছি।

শেয়ার করুন: