খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীরা ফিরেছে প্রিয় প্রাঙ্গণে: বালাগঞ্জে ১ম দিনে উপস্থিতি সন্তোষজনক

প্রায় দেড় বছর পর খুলল দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম এতো লম্বা সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বেশ উচ্ছ্বসিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।

সারা দেশের ন্যায় আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার ৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বেশ উচ্ছ্বসিত ভাবে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছে। দীর্ঘদিন পর সব বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা হওয়ায় তাদের চোখেমুখে আনন্দের রেশ বইছে। তবে বিদ্যালয় গুলোর বাইরে অনেক শিক্ষার্থীকে মাস্ক ছাড়াই ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে বালাই নেই তাদের। বিদ্যালয়গুলোতে ক্লাসে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে নেয়া হয়েছে।

বালাগঞ্জ উপজেলা সদরের ডিএন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর আজকে থেকে আবারও বিদ্যালয় খোলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। প্রায় দেড় বছর পর অনেক আগ্রহ সহকারে তারা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সন্তুষজনক।

উপজেলার দেওয়ান আব্দুর রহিম স্কুল এন্ড কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যসচেতনতার সহিত মাস্ক পরে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেছে। শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই পাঠদান করা হয়েছে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় ৯০% শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল।

উপজেলার মৈশাসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ১ম দিনই খুব আগ্রহ সহকারে ক্লাস করেছে। মাস্ক পরে তারা ক্লাসে প্রবেশ করেছে। দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দেখা হওয়ায় সবার মধ্যেই উচ্ছ্বাস বিরাজমান ছিল।

বালাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রকীব ভূইয়া বলেন, আজকে রুটিন অনুযায়ী ৩য় ও ৫ম শ্রেণির ক্লাস নেয়া হয়েছে এবং ৫ম শ্রেণির ক্লাস নিয়মিত চলবে। বাকী শ্রেণিগুলোর ক্লাস সপ্তাহে ১দিন করে চলবে। প্রথম দিনই উপজেলার ৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণির ৭৩% ও ৫ম শ্রেণির ৮৫% শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বজলুর রশীদ বলেন, উপজেলার সবকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস চলবে এবং বাকী ক্লাস গুলোর সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস নেয়া হবে। প্রথম দিনই আমি উপজেলার সব বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করেছি। স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়েও তাদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং তারা এগুলো বাস্তবায়নও করছেন।

শেয়ার করুন: