সিলেটের প্রায় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি

সুরমা নদী। ছবি: এস এম হেলাল।

অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বালাগঞ্জসহ পুরো সিলেট জেলার প্রায় সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও পরিদর্শনকালে জানাগেছে, বিগত ৪-৫ দিন যাবৎ সুরমা, কুশিয়ারাসহ সিলেটের বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে চলেছে। এ ছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে আবারও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

পাউবোর তথ্য বলছে, গত রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে ছিল ৯.৮৮ মিটার। সোমবার সকাল ৬টায় পানিসীমা দাঁড়ায় ১০.২০ মিটারে। পরে সকাল ৯টায় ১০.২৩ মিটার ও দুপুর ১২টায় ১০.৩৯ মিটারে পানিসীমা দাঁড়ায়। অর্থাৎ ১৮ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ০.৫১ সেন্টিমিটার। এ নদীর পানি গত রোববার সন্ধ্যায় কানাইঘাট পয়েন্টে ছিল ১২.৪৬ মিটার; গত সোমবার দুপুরে হয় ১৯.৪৮ মিটার।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে গত রোববার দুপুরে ছিল ১৪.৪২ মিটার। সোমবার দুপুরে হয়েছে ১৪.৬৫ মিটার। এ নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে গত রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১১.১৪ মিটার; সোমবার দুপুর ১২টায় দাঁড়ায় ১২.২৮ মিটারে। শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বেড়েছে। এখানে গত রোববার সন্ধ্যায় পানিসীমা ছিল ৭.৬৮ মিটার; সোমবার দুপুরে হয়েছে ৭.৭০ মিটার। বালাগঞ্জ উপজেলাসহ কুশিয়ারার পানি বাড়ছে ফেঞ্চুগঞ্জেও। রোববার এখানে পানিসীমা ৯.৪৯ মিটার ছিল; রোববার বিকেলে পানি বেড়ে হয়েছে ৯.৭৮ মিটার। কানাইঘাটের লোভা নদীর পানিও বাড়ছে। গত রোববার এ নদীর পানিসীমা ছিল ১২.৬৩ মিটার; সোমবার দুপুরে হয়েছে ১৪.১৫ মিটার।

সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ। তিনি জানান, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি বৃষ্টি অব্যাহত থাকে আবারও বন্যা আশঙ্কা রয়েছে । এতে জনদুর্ভোগও বাড়বে।

উল্লেখ্য, গত মাসের মাঝমাঝি সময়ে ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছিল সিলেট ও সুনামগঞ্জ। এতে বানবাসি লোকজনদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

শেয়ার করুন: