বালাগঞ্জে কুশিয়ারা নদী বিপদসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

অতিবৃষ্টি এবং উজানের ঢলে বালাগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের ৮/১০টি স্থানে সড়ক ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া কুশিয়ারা ডাইকের পৃথক দু’টি স্থানে সড়ক ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে। বালাগঞ্জ উপজেলা সদরের সড়ক অনেকাংশে তলিয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণেও পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজিনা আক্তার এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৮জুন) পর্যন্ত অব্যাহত বৃষ্টিপাতের প্রভাবে বালাগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। বন্যাদুর্গত এলাকাবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। উপজেলার ভাটি অঞ্চল খ্যাত দেওয়ান বাজার, পূর্ব গৌরীপুর এবং পশ্চিম গৌরীপুরসহ বালাগঞ্জ সদর, বোয়ালজুড় এবং পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মফুর বন্যাদুর্গত পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনহার মিয়া বালাগঞ্জ সদর এবং বোয়ালজুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে আলাপকালে বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মফুর জানান, বালাগঞ্জে দ্রুত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সসহ আশপাশ এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। উপজেলার কুশিয়ারা ডাইকের করচারপার ও হামছাপুর অংশে সড়ক ভেঙ্গে কুশিয়ারার পানি ঢুকছে। বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের অন্তত ৮/১০টি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। দ্রুত বেগে পানি ঢুকছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে অবনতিশীল পরিস্থিতির বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানকে অবহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজিনা আক্তার বালাগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের বন্যাদুর্গতের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন: