অল্প আমলে অধিক সাওয়াব অর্জন করার ১০টি উপায়

অল্প আমলে অধিক সাওয়াব অর্জন করার ১০টি সহজ উপায়:

১. যে ব্যাক্তি সকালে সূরাহ হাশরের শেষ তিন আয়াত তিলাওয়াত করবে সত্তর হাজার ফিরিশতা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দোয়া করতে থাকবে আর যদি সে এদিনে মারা যায় তাহলে আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদা দান করবেন। আর যে ব্যাক্তি সন্ধ্যায় সূরাহ হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে সেও অনুরুপ মর্যাদার অধিকারী হবে। (জামে তিরমীজি ও দারেমী শরীফ।)

২. সূরাহ জিলযাল একবার পাঠ করলে অর্ধেক কোরআন খতম করার সাওয়াব পাওয়া যায়। (তিরমিজী শরীফ)।
যে কেহ সূরাহ তাকাসুর দৈনিক একবার পাঠ করবে সে কোরআনের এক হাজার আয়াত পাঠ করার সাওয়াব পাবে। (তাফসীরে মাজহারী।)

৩. যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর “আয়াতুল কুরসী” পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য মৃত্যু ছাড়া অন্য কোন বাঁধা থাকবে না। অর্থাৎ, মৃত্যুর সাথে সাথেই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মিশকাতুল মাসাবীহ্, হাদীস নং-৯৭৪)।

৪. যে ব্যাক্তি জুমুয়ার দিনে ১০০ বার ও জুমুয়ার রাতে ১০০ বার রাসূল (সা.) এর উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করবে মহান আল্লাহ পাক তার ১০০ টি হাজত [প্রয়োজন] পূর্ণ করে দিবেন। এর মধ্যে ৭০টি পরকালীন হাজত পূর্ণ করবেন এবং ৩০ টি ইহকালীন [দুনিয়াবি] হাজত। (বায়হাকী শরীফ)।

৫. যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করবে তারপর সূর্যোদয় পর্যন্ত [সূর্যোদয়েরর ২৩ মিনিট পর্যন্ত] আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকবে, অতঃপর এশরাকের নামাজ পড়বে তাহলে তার আমলনামায় একটি পূর্ণ হজ্জ ও একটি পূর্ণ উমরার সাওয়াব লেখা হবে। (তিরমীজি শরীফ।)

০৬. হযরত জাবির (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন- মিসওয়াক করে নামাজ আদায় করলে এক রাকাতে ৭০ রাকাতের সাওয়াব পাওয়া যায়। (মিসওয়াকের ফজিলত সম্পর্কিত হাদীসগুলি মুতাওয়াতির)।

০৭. রাসূল (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি ১০০ বার পাঠ করবে- “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী” আল্লাহ পাক তার আমলনামায় ১২৪০০০ নেকী দান করবেন। (তিরমিজী শরীফ)।

০৮. যে ব্যক্তি রামাদান মাসের শেষ দশদিন ইতেকাফ করবে সে ২টি হজ্জ ও ২টি উমরার সাওয়াব লাভ করবে। (সহীহ্ বুখারী ও তাবরানী শরীফ)।

০৯. যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর সূরাহ্ তাওবার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে কিয়ামতের দিন সে নবিজীর শাফায়াত লাভ করবে এবং স্বপ্নযোগে নবিজীর দিদার লাভে ধন্য হবে। (নূরুল কুলূব)।

১০. হযরত আবু হুরায়রা(রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- দুটি সংক্ষিপ্ত বাক্য যা বলতে সহজ, নেকের পাল্লাতে ভারী, আল্লাহর নিকট খুবই প্রিয়, তা হলো- “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আজীম” (সহীহ্ বুখারী ও মুসলিম)।

শেয়ার করুন: