আর্থিক মন্দায় বৃটেন

সরকার স্বীকার করে নিয়েছে বৃটেন এরই মধ্যে অর্থনৈতিক মন্দায়। নিরপেক্ষ পূর্বাভাসকারী প্রতিষ্ঠান অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবলিটি (ওবিআর) বলেছে, আগামী বছর তা আরও শোচনীয় পর্যায়ে যাবে। এ অবস্থার জন্য ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানির উচ্চ মূল্য বিশেষত দায়ী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের আগে এই অবস্থা থেকে উন্নতির ঘটবে না। বৃটিশ অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট যখন পার্লামেন্টে শীতকালীন বিবৃতি দিচ্ছিলেন তখন এমন পূর্বাভাস দিয়েছে ওবিআর। জেরেমি হান্ট বলেছেন, ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবারগুলো, পেনশনাররা, ব্যবসায়ীরা, শিক্ষকরা, নার্সরা ও অন্যরা। তবে অভয় দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা এবং প্রতিশ্রুত পরিকল্পনার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকে।

এরই মধ্যে বৃটেনে বিদ্যুৎ, খাদ্য এবং জ্বালানি বিল গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে।

অসংখ্য পরিবার পড়েছে কঠিন অবস্থায়। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা অতি দরিদ্রদের। এ অবস্থায় ওবিআর বলছে, এ বছর সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হতে পারে শতকরা ৪.২ ভাগ। কিন্তু তা আগামী বছর কমে যেতে পারে শতকরা ১.৪ ভাগ। পরের তিন বছরে তা শতকরা ১.৩ ভাগ, ২.৬ ভাগ এবং ২.৭ ভাগ বাড়তে পারে।

অর্থনৈতিক মন্দা বলতে কি বুঝায়? এর জবাবে বলা হয়েছে, কোনো একটি দেশে পর পর দুটি তিনমাস মেয়াদে অর্থনীতি যদি সংকুচিত হয়, তখন সেই অর্থনীতি মন্দায় আছে বলা হয়। মন্দার সময় কোম্পানিগুলো কম আয় করে। পাওনা পরিশোধ করতে পারে না। বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর অর্থ হলো সরকারি সেবাখাত পরিচালনার জন্য সরকার অর্থ পাবে কম।

শেয়ার করুন: