হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ ইউকের প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান 

হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ ইউকে প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবী নিয়ে একটি স্মারকলিপি লণ্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরণ করেছে। গত ৬ জানুয়ারি প্রেরণ করা এ সমস্ত দাবি-দাওয়ার মধ্যে রয়েছে – প্রবাসী ট্রাইব্যুনাল গঠন, অবিলম্বে এনআইডি কার্ড প্রদান, দ্রুততম সময়ে পাসপোর্ট সরবরাহ, পাওয়ার অব এটর্নি এবং নো ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা সহজীকরণ, বাংলাদেশ বিমানের টিকেট সল্পতা দূরীকরণ ও টিকেটের উচ্চমূল্য রহিতকরণ প্রভৃতি।

এ উপলক্ষে হিউম্যান রাইটস নিতৃবৃন্দ বাংলাদেশ হাইকমিশনে পৌছলে হাইকমিশনার তাদের স্বাগত জানান। এরপর সেখানে অয়োজিত এক মতবিনিময় সভা অুনষ্ঠিত হয়। এ সভায় হাইকমিশনার ছাড়া আরও যে সমস্ত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন, তারা হচ্ছেন – কনস্যুলার পলিটিকাল দেওয়ান মাহমুদুল হক, ফার্স্ট সেক্রেটারী (পাসপোর্ট ও ভিসা) এ জে এম শরীফ হোসেন, কমার্শিয়াল কনস্যুলার তানভির মোঃ আজিম, হেড অব চ্যান্সাসারী মাহফুজা সুলতানা, কনস্যুলার পলিটিকাল সুদিপ্তা আলম প্রমুখ।

এইচআরপিবি এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন – সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক রহমত আলী, ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল মুকিত চুনু এমবিই, জয়েন্ট সেক্রেটারী আবুল হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল সেক্রেটারী শাহ মুনিম। সাবেক স্পীকার আহবাব হোসেন ও কাউন্সিলার মোঃ ওসমান গনি। এ সময় হিউম্যান রাইটস নেতৃবৃন্দ স্মারক লিপিতে যে সমস্ত বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলি বাস্তবায়নে হাইকমিশনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সাথে সাথে ব্রিটিশ বাংলাদেশী ও তাদের সন্তানাদির বাংলাদেশী পাসপোর্ট গ্রহণের ক্ষেত্রে দৈত নাগরিকত্বের সনদ না লাগার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রবাসী দিবস ঘোষণার জন্য বাংলাদেশ সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী মন্ত্রণালয়, হাইকমিশনসহ সংশ্লিস্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

আলোচনা শেষে স্মারকলিপি গ্রহণের পর হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম বলেন, বর্তমান সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের ব্যাপারে সব সময়ই আন্তরিক। তাই ইতোমধ্যেই অনেক দাবী-দাওয়া বাস্তবায়িত হয়েছে ও অন্যান্য দাবিগুলিও বাস্তবায়িত হবে। এমতাবস্থায় স্মারক লিপিতে উল্লেখিত বিষয়গুলি তিনি সংশ্লিস্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দিবেন বলে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্থ করেন ও সেখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

 

শেয়ার করুন: