
লিচুর মৌসুম এখনও পুরোপুরি শুরু না হলেও ইতোমধ্যে বাজারে দেখা যাচ্ছে অপরিপক্ক লিচুর সরবরাহ। ভালো দামে বিক্রির আশায় অনেক ব্যবসায়ী সময়ের আগেই এসব কাঁচাপাকা লিচু বাজারে তুলছেন। বর্তমানে বাজারে যেসব লিচু পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো পুরোপুরি পাকেনি—অধিকাংশই অপরিপক্ক ও খাওয়ার অনুপযুক্ত।
ব্যবসায়ীরা ১০০টি লিচু ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি করছেন, আবার জাতভেদে হাজার টাকাও হাঁকাচ্ছেন। নতুন মৌসুমি ফল হিসেবে অনেক ক্রেতাই এই লিচু কিনছেন, না বুঝেই শরীরের জন্য ঝুঁকি নিচ্ছেন।
অপরিপক্ক লিচু খেলে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে:
১. হাইপোগ্লাইসেমিয়া: অপরিপক্ক লিচুতে থাকা কিছু প্রাকৃতিক উপাদান শরীরের গ্লুকোজ উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। বিশেষ করে খালি পেটে খেলে শিশুরা মারাত্মক হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
২. লিচু এনসেফালোপ্যাথি: প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে ভারতের বিহার ও বাংলাদেশের কিছু এলাকায় শিশুদের মধ্যে লিচু খাওয়ার পর এই রোগ দেখা যায়। এটি মূলত হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ফলে সৃষ্ট এবং মস্তিষ্কে গুরুতর প্রভাব ফেলে।
৩. পাচনতন্ত্রে সমস্যা: অপরিপক্ক লিচু খেলে গ্যাস্ট্রিক, পেটব্যথা, ডায়রিয়ার মতো হজমজনিত সমস্যার ঝুঁকি থাকে।
৪. অ্যালার্জি: কারও কারও ক্ষেত্রে কাঁচা বা আধা-পাকা লিচু খাওয়ার ফলে চুলকানি, র্যাশ, এমনকি শ্বাসকষ্টের মতো অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।
বিশেষ সতর্কতা:
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পুরোপুরি পাকা লিচু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সময়ের আগে অপরিপক্ক লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।



