তেহরানে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা, হাজারো শোকাহত মানুষের ঢল

ইসরায়েলের  সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক ১২ দিনের সংঘর্ষে নিহত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষের স্মরণে তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বিশাল রাষ্ট্রীয় জানাজা। শনিবার সকালে আয়োজিত এই শেষকৃত্যানুষ্ঠানে হাজার হাজার শোকাহত মানুষ পতাকা ও ব্যানার হাতে উপস্থিত হন।

ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০ জনের বেশি মানুষের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানী তেহরানের রাস্তায় সমবেত হন হাজারো মানুষ। নিহতদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী, সাংবাদিক ও বহু সাধারণ নাগরিক—এমনকি নারী ও শিশুও।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি অনুষ্ঠানটির ভিডিও সম্প্রচার করে। ভিডিওতে দেখা যায়, ইরানের জাতীয় পতাকা—লাল, সাদা ও সবুজ রঙে মোড়ানো কফিনগুলোর দিকে ছুটে যাচ্ছেন আবেগতাড়িত মানুষ। সেই সময় বাজানো হচ্ছিল দেশপ্রেমমূলক সংগীত।

রাষ্ট্রপতি মাসউদ পেজেশকিয়ান জানাজায় উপস্থিত ছিলেন এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। মঞ্চে নিহত কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার ছবি প্রদর্শন করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।

তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, জানাজায় অংশ নেওয়া অনেকে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি-এর ছবি বহন করেন এবং আমেরিকা ও ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান দেন।

গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল, ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা শুরু করে। এতে ৬০০-এর বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক।

এর জবাবে ইরান তাৎক্ষণিক পাল্টা হামলা চালায়। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মহাকাশ শাখা ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস–৩’-এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলে ২২ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে।

পরবর্তীতে ২৪ জুন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়।

শেয়ার করুন: