কোলেস্টেরল বৃদ্ধির লক্ষণগুলো কী কী?


চোখের পাতার চারপাশে হলদেটে প্যাচ বা ফোলাভাব:
চোখের চারপাশে ছোট ছোট হলদেটে দাগ বা সামান্য ফোলাভাব দেখা দিলে তা হতে পারে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের লক্ষণ। যদিও এগুলো ব্যথাহীন, তবুও রক্তে চর্বি জমে থাকার ইঙ্গিত দিতে পারে।

চোখের কর্নিয়ায় ধূসর বা সাদা রিং:
কর্নিয়ার চারপাশে সাদা বা ধূসর রঙের বৃত্ত দেখা গেলে তাকে বলা হয় “কর্নিয়াল আর্কাস”। এটি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিতে পারে, তবে যদি ৪৫ বছরের কম বয়সেই দেখা যায়, তবে তা উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে।

ত্বকে হলুদাভ ফুঁসকুড়ি বা দানা:
চোখ, গাল, কনুই বা হাঁটুর আশপাশে হলুদাভ রঙের ছোট ছোট ফুঁসকুড়ির মতো দাগ দেখা গেলে তা হতে পারে “জ্যান্থোমা”। এটি সাধারণত ব্যথাহীন এবং শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বা লিপিড জমা হওয়ার ফলে হতে পারে।

চোখের আশপাশে হলুদ রঙের দাগ:
চোখের চারপাশে যদি হলদেটে ছোপ বা রঙের পরিবর্তন দেখা যায়, তাহলে তা “জ্যান্থোডার্মা” নামে পরিচিত হতে পারে। রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে ত্বকের নিচে চর্বি জমার কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

ত্বকে নীলচে বা বেগুনি জালের মতো দাগ:
রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমে গেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলচে বা বেগুনি রঙের জালের মতো দাগ দেখা দিতে পারে। একে বলা হয় “কোলেস্টেরল এমবোলিজম”। এটি রক্তপ্রবাহে বাধার স্পষ্ট সংকেত এবং অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন।

ছোট ছোট গুটি বা ফুসকুড়ির গুচ্ছ:
মুখ, বাহু বা নিতম্বে হঠাৎ লাল বা হলুদ ছোট গুটির মতো দানা দেখা দিলে তা হতে পারে “বিস্ফোরিত জ্যান্থোমা”। এটি সাধারণত ট্রাইগ্লিসারাইড অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারণে হয় এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন।

করণীয়
উল্লিখিত উপসর্গগুলোর যেকোনো একটি যদি আপনার শরীরে দেখা দেয়, তবে সময় নষ্ট না করে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা জেনে নেওয়া উচিত। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি। কারণ অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল হৃদ্‌রোগসহ বহু মারাত্মক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

শেয়ার করুন: