জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে দেওয়া মন্তব্যকে ঘিরে বিএনপির কারণ দর্শানো নোটিশের লিখিত জবাব দিয়েছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চার পৃষ্ঠার লিখিত জবাব জমা দেন।
তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা জানান, নোটিশের জবাব আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেওয়ার পর তিনি আর কোনো মন্তব্য করবেন না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে পাঠানো জবাবে ফজলুর রহমান বলেন, তিনি কখনোই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেননি। বরং সবসময় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
জবাবে তিনি ১১টি দফায় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
বিএনপির দীর্ঘ আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন এবং টেলিভিশন টকশো ও অনলাইনে নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়িয়েছেন।
জামাত-শিবির আন্দোলনের কৃতিত্ব নিজেদের দখলে নিতে চাইলে তিনি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি সবসময় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
তিনি লিখেছেন, “আমার বক্তব্যে কোথাও যদি ভুল থেকে থাকে, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে দল ও দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোনো সময় কাজ করিনি, ভবিষ্যতেও করব না। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে।”
দলীয় দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রথমে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। পরে তার অনুরোধে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়, যার মেয়াদ শেষ হয় মঙ্গলবার রাত ৯টায়।