নেপালে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় তারা ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেস পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ মন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নরের বাড়িতে হামলা চালান এবং কয়েকটি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করেন।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, সোমবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে ১৯ তরুণ নিহত হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমন করতে বলপ্রয়োগ করায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বিস্ফোরণ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হলেও আন্দোলন থামানো যায়নি।
কারফিউ উপেক্ষা করে মঙ্গলবার সকালেই আন্দোলনকারীরা কাঠমান্ডুর সানেপায় নেপালি কংগ্রেস পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় তারা মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবন ও দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং অগ্নিসংযোগ চালান।
ললিতপুরে তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের বাড়ি, ভৈসেপাতিতে উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেলের বাড়ি এবং সোমবার পদত্যাগ করা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাড়ি বিক্ষোভকারীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়।
এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নেপালি কংগ্রেসের প্রধান শের বাহাদুর দেউবার বুধানিলকণ্ঠার বাড়ির দিকে বিক্ষোভকারীরা এগোলেও পুলিশি বাধায় তা থেকে রক্ষা পায়। বিরোধী দল সিপিএন (মাওবাদী কেন্দ্র) চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দহলের খুমলতাস্থ বাসভবনেও হামলার চেষ্টা চালানো হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুধু জাতীয় নেতারা নন, বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী ও বহু রাজনৈতিক নেতার বাড়িঘরেও হামলা হয়েছে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।
