
যুক্তরাজ্যের সেন্ট্রাল লন্ডনে গত ১৩ সেপ্টেম্বর আয়োজিত “ইউনাইট দ্য কিংডম” র্যালিকে কেন্দ্র করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ইস্ট লন্ডন মসজিদ ও লন্ডন মুসলিম সেন্টার। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে একটি চিঠি পাঠিয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ সহিংসতা ও ভয়-ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
চিঠিতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীকে সহিংসতার নিন্দা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানালেও স্পষ্ট করেছে যে, কেবল বক্তব্য নয়—বাস্তব পদক্ষেপ দেখতে চায় জনগণ। তারা সহিংসতায় উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, সব সম্প্রদায়ের জন্য সমান পুলিশি আচরণ নিশ্চিত করা এবং ডানপন্থী চরমপন্থা মোকাবিলায় কার্যকর কৌশল গ্রহণের দাবি জানায়।
মসজিদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুনায়েদ আহমেদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা জ্ঞাপন অবশ্যই ইতিবাচক। তবে আমাদের কমিউনিটি এখন সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে। ঘৃণামূলক বক্তব্য কিংবা সহিংসতার উসকানি দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকা উচিত নয়। সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে সব নাগরিক নিরাপদ থাকে এবং ক্রমবর্ধমান ডানপন্থী উগ্রবাদ রোধ করা যায়।”
উল্লেখ্য, উক্ত র্যালিতে মুসলমান, ইসলাম ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়া হয়। বক্তারা “গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট” তত্ত্বের নামে অভিবাসনকে আগ্রাসন হিসেবে উপস্থাপন করেন। আরও উদ্বেগজনক বিষয় ছিল—সেখানে ইসলাম ধর্ম বিলুপ্ত করা এবং মসজিদে উপাসনা বা খ্রিষ্টান ধর্ম ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো। এমনকি বিদেশি উগ্রপন্থীরাও ওই সমাবেশে যোগ দিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।