
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একসময় এইচ-১বি ভিসা নীতি নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে এবার সেই অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ফক্স নিউজের লরা ইনগ্রাহামের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে প্রতিভাবান কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে।
এইচ-১বি ভিসা নিয়ে তাঁর এই আশ্চর্যজনক অবস্থান পরিবর্তনটি সাক্ষাৎকার চলাকালীন ঘটে, যখন সঞ্চালিকা লরা ইনগ্রাহাম দক্ষ অভিবাসী কর্মীদের গুরুত্বের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমেরিকায় দীর্ঘমেয়াদী বেকার নাগরিকদের পুনরায় উৎপাদন ও প্রতিরক্ষা খাতের মতো জটিল কাজে নিয়োগ করা সম্ভব নয়, কারণ তাঁদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা নেই।
যখন ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর প্রশাসনের জন্য এইচ-১বি ভিসা বিধিনিষেধ এখনো অগ্রাধিকার পাবে কি না, তখন তিনি জবাব দেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বজুড়ে প্রতিভাবান মানুষদের দেশে নিয়ে আসতে হবে।”
আরেক প্রশ্নে, আমেরিকার ভেতরেই কি পর্যাপ্ত প্রতিভা নেই—এর জবাবে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেন, “না, আমাদের নেই। না, আমাদের নেই… আমাদের নেই… নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের প্রয়োজনীয় প্রতিভা আমাদের দেশে নেই, এটা সবাইকে বুঝতে হবে।”
প্রযুক্তি খাতসহ মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি পেশাদার কর্মী নিয়োগের জন্য এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামের উপর নির্ভরশীল। ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের পর এবার তাঁর এই বক্তব্যে নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে এইচ-১বি ভিসাধারী পেশাজীবীদের বেশিরভাগই ভারতীয় নাগরিক, যাঁরা প্রযুক্তি, চিকিৎসা ও অন্যান্য পেশাগত খাতে যুক্ত।
এর আগে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন ‘কিছু অ-অভিবাসী কর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা’ শীর্ষক একটি ঘোষণা জারি করেছিল। এতে বলা হয়, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালের পর জমা দেওয়া কিছু এইচ-১বি আবেদনপত্রের ক্ষেত্রে যোগ্যতার শর্ত হিসেবে অতিরিক্ত ১ লাখ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে।
পরবর্তীতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, এই নতুন ফি কেবলমাত্র ২১ সেপ্টেম্বরের পর নতুন এইচ-১বি আবেদনকারী বা লটারিতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি বা সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।




