গত ২ ডিসেম্বর থেকে লকডাউন প্রত্যাহার হলেও লণ্ডনে আবারো প্রায় লকডাউনের মতই কঠোর বিধিনিষেধ টিয়ার থ্রি আরোপের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই লণ্ডন এবং আশপাশের কিছু এলাকায় ক্রমাগত বেড়েই চলছে করোনার সংক্রমণ। এই করোনার সংক্রমণ কমাতে দ্বিতীয় ধাপে এক মাসের লকডাউনে ছিলো ইংল্যান্ড।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যালোচনা শেষে লণ্ডনে টিয়ার থ্রি আরোপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইংল্যান্ডে টিয়ার থ্রি আরোপিত বিভিন্ন এলাকার চাইতে টিয়ার টু আরোপিত লণ্ডনের বিভিন্ন এলাকায় করোনার রোগীর সংখ্যা বেশি।
পাবলিক হ্যালথ ইংল্যান্ডের তথ্য অনুযায়ী ইংল্যাণ্ডের দ্বিতীয় লকডাউনের শেষ সপ্তাহে অর্থাৎ গত ২৬ নভেম্বর থেকে ২রা ডিসেম্বরের ভেতরে লণ্ডনে ১৫ হাজার ২শ করোনা পজিটিভ রোগী ছিল। অর্থাৎ প্রতি ১ লাখের মধ্যে ১শ ৭০ জন করোনা রোগী ছিলেন। অথচ আগের সপ্তাহে লণ্ডনে প্রতি ১ লাখে ১৫৬ জন করোনা রোগী ছিল।
জাতীয়ভাবে ইংল্যাণ্ডে বর্তমানে প্রতি ১ লাখে ১৫০ জন করোনায় আক্রান্ত। কিন্তু গত কয়েক দিনে লণ্ডনের ৩২টি বারার মধ্যে অন্তত ১৫টি বারায় করোনায় আক্রান্তের মাত্রা জাতীয় সংখ্যার চাইতেও বেশি। এর মধ্যে বার্কিং এন্ড ডেগেনহ্যামেই প্রতি ১ লাখে ২৯৯ জন করোনায় আক্রান্ত। আর হ্যাভারিংয়ে প্রতি ১ লাখে ৩১৬ জন করোনায় আক্রান্ত।
অথচ টিয়ার থ্রি আরোপিত ব্রিস্টলে প্রতি ১ লাখে ১৪১ জন এবং কভেন্ট্রিতে প্রতি ১ সাথে ১৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত।