
ছবি: হামজার ফেসবুক পেজ
হামজা চৌধুরীর অভিষেক ম্যাচটি জয় দিয়ে রাঙানোর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। দীর্ঘ ২২ বছরের ভারত-বধের খরাও কাটাতে চেয়েছিল দল। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে সুযোগও পেয়েছিল মুজিবুর রহমান জনি-মোহাম্মদ হৃদয়রা। কিন্তু একের পর এক গোল মিসের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে।
ভারতের বিপক্ষে সবশেষ জয় ছিল ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। এরপর থেকে প্রতিটি দেখাতেই হতাশা সঙ্গী হয়েছে লাল-সবুজের। ২০২১ সালের মতো এবারও ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। অথচ ম্যাচের শেষ দিকে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ এসেছিল।
খেলার শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ভারতের গোলরক্ষক বিশাল কাইথের ভুল পাস থেকে ফাঁকা পোস্টের সামনে বল পান মুজিবুর রহমান জনি। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে শট বাইরে মারেন তিনি। এরপর একাধিক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডরা।
৯ ও ১৮ মিনিটে দুটি ফ্রি হেডের সুযোগ পান শাহরিয়ার ইমন, কিন্তু দুবারই বল লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন। ১২ মিনিটে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন মোহাম্মদ হৃদয়, কিন্তু তার দুর্বল শট শেষ মুহূর্তে গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ভারতের ডিফেন্ডার শুভাশীষ রায়।
বিরতির আগে ৪১ মিনিটে আরেকটি সুযোগ আসে জনির সামনে। সতীর্থের সঙ্গে পাস খেলতে খেলতে ভারতের বক্সে ঢুকে পড়লেও শেষ স্পর্শ জোরে করায় বল কাইথের হাতে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও বাংলাদেশ একাধিক সুযোগ পেলেও গোলের দেখা পায়নি। ৮৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ফয়সাল ফাহিমের নেওয়া মাটি কামড়ানো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন বিশাল কাইথ। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে রাকিব হোসেনের শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
বাংলাদেশের মতো ভারতও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। ৮৪ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর হেড লক্ষ্যে থাকলে গোল পেতে পারত ভারত। কিন্তু ফাঁকা জায়গা থেকে নেওয়া তার হেড পোস্টের বাইরে চলে যায়, এরপরই তাকে বদলি করেন কোচ মানালো মার্কেস।
এদিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাংলাদেশ দলে অভিষেক হলো ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর। তবে তার অভিষেক ম্যাচে জয় এনে দিতে ব্যর্থ হলো দল। ভারতের বিপক্ষে ২২ বছরের জয়খরা কাটানোর স্বপ্ন নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ, কিন্তু গোল মিসের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।