আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সচিবালয়ে কর্মরত ৪৪ জন আমলা এবং প্রশাসনের প্রায় ৫০ জন কর্মকর্তার তালিকা প্রকাশ করেছে ‘জুলাই ঐক্য’ নামের একটি নবগঠিত সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। সংগঠনটি দাবি করেছে, এরা সবাই দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের অনুগত হিসেবে কাজ করছেন।
সংবাদ সম্মেলনের শিরোনাম ছিল, ‘সচিবালয়ে ও প্রশাসনে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসরদের তালিকা প্রকাশ’। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ। তিনি বলেন, “শুধু জুলাই-আগস্ট নয়, গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে সচিবালয়ের আমলারা শেখ হাসিনার শাসনকে টিকিয়ে রাখতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। এখনো তারা প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিয়ন্ত্রণ করছেন।”
এ সময় শহীদ মুহতাসির রহমান আলিফের বাবা মোহাম্মদ গাজীউর রহমান তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের নাম পড়ে শোনান। এতে ৪৪ জন আমলার নাম রয়েছে, যাদের আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, তাদের পরবর্তী পদক্ষেপে শিক্ষাঙ্গন, চিকিৎসা, আইন, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতি অঙ্গনে অবস্থানকারী স্বৈরাচারের দোসরদের তালিকাও প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ‘জুলাই ঐক্য’ সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করে। দাবিগুলো হলো:
১। আগামী ৩১ মে’র মধ্যে তালিকাভুক্ত আওয়ামী দোসর আমলাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে হবে।
২। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে এর দৃশ্যমান অগ্রগতি জনসম্মুখে তুলে ধরতে হবে।
৩। (সংখ্যা অনুপস্থিত ছিল, সংযোজিত হলো) প্রশাসনের মধ্যকার গুলি চালানো ও তথ্য পাচারে সংশ্লিষ্ট আমলা ও কর্মকর্তাদের ব্যাংক হিসাব ও অবৈধ সম্পদ জব্দ করতে হবে।
৪। স্বৈরাচারের দোসর আমলাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫। আগামী ৫ আগস্টের (৩৬ জুলাই) মধ্যে চিহ্নিত দোসরদের নামসহ শ্বেতপত্র সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
৬। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩২ ধারা বাতিল বা সংশোধন করতে হবে, যাতে খুনি পুলিশদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া সম্ভব হয়।
৭। সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা আগামী ৩১ মে’র মধ্যে প্রকাশ করতে হবে—তারা কোথায় আছেন, এবং কার সহযোগিতায় দেশ ছেড়েছেন, সে তথ্যসহ।
‘জুলাই ঐক্য’ বলেছে, তারা আওয়ামী পুনর্বাসন প্রতিরোধে সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে এ উদ্যোগ নিয়েছে।