অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে রাতে ভাত খেতে চান না। আবার ব্লাড সুগারের আশঙ্কায় কেউ কেউ রাতে বেছে নেন রুটি। সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, ভাতের তুলনায় রাতে রুটি খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা সব সময় ঠিক নাও হতে পারে। রাতে রুটি খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে।
রুটিতে বাড়তে পারে ক্যালরি ও ওজন
প্রতিটি রুটিতে গড়ে প্রায় ৭০-৭৫ ক্যালরি থাকে। কেউ যদি রাতে দুই বা তার বেশি রুটি খান, আর সঙ্গে বিভিন্ন তরকারি ও সবজি খান, তাহলে প্রতিদিনকার ক্যালরি গ্রহণ অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া, রাতে খাওয়ার পর শরীরচর্চা বা হাঁটাহাঁটি না করলে শরীরে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জমে ওজন বাড়তে পারে।
রুটি খেলে বাড়তে পারে ব্লাড সুগার
রুটি হলো একটি সাধারণ কার্বোহাইড্রেট উৎস, যা দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও পিসিওডি-তে (PCOD) ভোগা রোগীদের ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। ইনসুলিন নিঃসরণে সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
হজম সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য
রুটিতে ফাইবারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। ফলে রাতে এটি খেলে হজমের সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, রাতে সহজপাচ্য ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার। এটি পেটের জন্য আরামদায়ক এবং পুষ্টিকর।
ভাত নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকে মনে করেন রাতে ভাত খাওয়া একেবারেই নিষেধ। কেউ কেউ রোগা হওয়ার জন্য ভাত সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেন। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, এই ধারণা সব সময় সঠিক নয়। ভাতে কার্বোহাইড্রেট থাকলেও তা পরিমিত ও সঠিক সময়ে খাওয়া হলে ক্ষতির বদলে উপকারই করে। বরং ভাত পুরোপুরি বাদ দিলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে।
পরামর্শ
রাতে রুটি না খেয়ে পরিবর্তে ফাইবারসমৃদ্ধ শাকসবজি, মসুর ডাল, বা পরিমিত ভাত খাওয়াকে অনেক বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্যসম্মত মনে করেন। তবে ব্যক্তিভেদে খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন হতে পারে, তাই নিজের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সর্বোত্তম।