রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

মাত্র এক মাসেই নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে কোলেস্টেরল



বর্তমানে উচ্চ কোলেস্টেরল একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে ধারণা করা হতো এটি কেবল বয়স বাড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তরুণরাও সমানভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ভাজা-ভুজি ও অতিরিক্ত তেল-মসলাদার খাবার খাওয়ার প্রবণতা, ধূমপান ও মদ্যপান, মানসিক চাপ এবং শরীরচর্চার অভাব—সব মিলিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। আর এ সমস্যা অবহেলা করলে হৃদ্‌রোগসহ নানা জটিলতায় পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

চিকিৎসকদের মতে, সঠিক ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনলে মাত্র ৩০ দিনেই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে কোলেস্টেরল

সুষম খাদ্যাভ্যাস:
গোটা শস্য, শাকসবজি ও ফল প্রতিদিনের খাবারে রাখতে হবে। আপেল, পেয়ারা, কমলা, কলা, পেঁপে কিংবা তরমুজের মতো ফল নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার:
ধূমপান কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই ধূমপান সম্পূর্ণ ত্যাগ করা জরুরি। একইভাবে মদ্যপান থেকেও বিরত থাকা প্রয়োজন।

নিয়মিত ব্যায়াম:
হালকা ব্যায়াম, ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ, যোগব্যায়াম ও হাঁটা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। সকালে যোগাসন ও ধ্যানের অভ্যাস মানসিক চাপও কমাতে সাহায্য করে।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত ধ্যান, পর্যাপ্ত ঘুম, গান শোনা, বই পড়া কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।

শেষ কথা

কোলেস্টেরল কমানো কোনো এক দিনের কাজ নয়। তবে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে নিয়মিত পরিবর্তন আনলে মাত্র এক মাসেই ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব। সুস্থ হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য প্রয়োজন—সুষম আহার, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!