জিনসের প্যান্টে থাকা ছোট্ট পকেটটি অনেকের কাছেই অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে। কিন্তু উনবিংশ শতকে এর বিশেষ ব্যবহার ছিল। সেই সময় কৃষক ও শ্রমিকরা জিনস বেশি পরতেন। কাজের মাঠে তারা কোট ব্যবহার করতে পারতেন না। তাই জিনসের সামনের দিকে ছোট একটি পকেট রাখা হতো, যেখানে রাখা যেত পকেট ঘড়ি।
একইভাবে কোট বা স্যুট জ্যাকেটের নকশাতেও লুকিয়ে আছে ঐতিহাসিক তাৎপর্য। কোটের হাতায় থাকা অতিরিক্ত বোতামগুলোকে অনেকেই শুধু অলঙ্কার মনে করেন। কিন্তু ইতিহাস জানায়, চিকিৎসকদের সুবিধার্থেই এই বোতামের ব্যবহার শুরু হয়েছিল।
আগের দিনে চিকিৎসকরা আধুনিক মেডিকেল পোশাক ব্যবহার না করে স্যুট পরেই রোগী দেখতেন। হাত ধোয়া বা পরিষ্কার করার জন্য তাঁদের প্রয়োজন হতো আস্তিন গুটিয়ে নেওয়ার। এজন্য কোটের হাতায় বিশেষ বোতাম লাগানো হতো, যেগুলো খোলা যেত এবং আস্তিন সহজে গুটিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো। এ কারণে এগুলো পরিচিত ছিল ‘সার্জনস কাফ’ নামে।
ধারণা করা হয়, উনবিংশ শতকেই কোটে এ ধরনের বোতামের প্রচলন শুরু হয়। তখন এগুলো ব্যবহারিক ভূমিকা রাখলেও বর্তমানে স্যুট জ্যাকেটের বোতামগুলো আর খোলা যায় না। এখন এগুলো কেবল নকশা ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবেই রয়ে গেছে।
অতীতে যেগুলো ছিল প্রয়োজনীয়তার প্রতীক, আজ সেগুলো পরিণত হয়েছে আভিজাত্য ও ফ্যাশনের অংশে।




