
৩৫ বছর বয়সেই অনেকের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে— বিশেষ করে যাঁরা অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ বা একমাত্র মাংসভিত্তিক (কার্নিভোর) ডায়েট অনুসরণ করেন। ভারতের কার্ডিওলজিস্ট ডা. দিমিত্রি ইয়ারণভ সম্প্রতি এ বিষয়ে সতর্ক করে জানিয়েছেন, অতিপ্রোটিন ডায়েট দীর্ঘমেয়াদে হৃদযন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।
তার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, অনেক তরুণ আছেন যারা বাইরে থেকে ফিট বা অ্যাথলেটিক দেখান, কিন্তু তাদের রক্তনালির ভেতরে অজান্তেই গুরুতর ক্ষতি হয়। ফলাফল— হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক, এমনকি ৩০-৩৫ বছর বয়সেই।
কীভাবে অতিরিক্ত প্রোটিন হার্টের ক্ষতি করে
ডা. ইয়ারণভের মতে, বছরের পর বছর অতিপ্রোটিন বা কার্নিভোর ডায়েট অনুসরণ করলে শরীরে দেখা দেয় কয়েকটি বড় সমস্যা—
* খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বেড়ে যায়
* রক্তনালির আস্তরণ নষ্ট হয়
* দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ সৃষ্টি হয়
* রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়
তিনি বলেন, “বাইরে থেকে শরীর যত ফিটই মনে হোক, ভিতরে লুকিয়ে থাকতে পারে মারাত্মক সমস্যা। সিক্স-প্যাক শরীর থাকলেও তা হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে না, যদি খাদ্যাভ্যাস অস্বাস্থ্যকর হয়।”
ভারসাম্যপূর্ণ খাবারই সুস্থতার চাবিকাঠি
ডা. ইয়ারণভ পরামর্শ দেন, অতি কোনো ডায়েটের বদলে ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসই হৃদযন্ত্র ও শরীরকে সুস্থ রাখে।
তার মতে—
* প্রাকৃতিক ও সম্পূর্ণ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন
* উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য বেশি গ্রহণ করুন
* নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে শরীরের অবস্থা জেনে নিন
সুস্থ থাকা মানে শুধু শরীরের গঠন নয়, বরং ভিতর থেকেও সুস্থ থাকা। তাই যে কোনো ডায়েট শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
মনে রাখবেন— অতিরিক্ত ভালোও কখনো কখনো শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
**সূত্র:** হিন্দুস্তান টাইমস




