বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আরো দুইজন। গতকাল শুক্রবার রাতে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর কাছে তারা এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তারা হলেন – মো. সাগর ও নাজমুল হাসান। রিফাত হত্যা মামলায় তাদের নাম উল্লেখ না থাকলেও ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাইমুনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত মো. সাগর ও নাজমুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হলে তারা উভয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এছাড়া পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে সাইমুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এর আগেও গত ২৮ জুন শুক্রবার নাজমুল হাসানের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাকে গত ৩০ জুন রোববার রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করলে নাজমুলের আবারও পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এছাড়াও আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা তানভীর একই আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর গতকাল বৃহস্পতিবার রিফাত হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসানও একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর এ মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজি সাতদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।