সিলেটের বালাগঞ্জে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে বালাগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্নগ্রাম পানিতে এখন নিমজ্জিত। বালাগঞ্জ বাজার, হাসপাতাল রোড, বাসস্টেশনসহ সব জায়গা পানিতে ডুবে গেছে। উপজেলার প্রায় ১০ হাজার লোক পানিবন্দি আর আক্রান্ত পরিবারের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার।
দুদিন ধরে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তীসহ সবকটি ইউনিয়ন মিলে প্রায় দশ সহস্রাধিক লোক এ পর্যন্ত পানিবন্দি হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায় বাড়ি ও রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার লোকজন। মানুষের এই দূর্যোগমুহূর্তে গত শনিবারে পূর্বগৌরিপুর ও পূর্বপৈলনপুরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুস সাকিব ও সহকারী কমিশনার ( ভূমি) সুমন চন্দ্র দাশ।
এদিকে পূর্বপৈলন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান, পুরো ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। পুরো ইউনিয়ন পানিবন্দি। এলাকায় কুশিয়ারা ডাইকের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ডাইকটির প্রান্ত ভেঙে যাওয়ায় দ্রুত আমার এলাকাটি পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। সবকটি ছোট-বড় রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালজুড় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনহার মিয়া বলেন, বালাগঞ্জ উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয় কম বেশি বন্যা প্লাবিত। তবে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন।
এ ব্যাপারে আলাপকালে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুস সাকিব বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি ১ দশমিক ৫ সেন্টি মিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার ১০ হাজার লোক পানিবন্দী আর আক্রান্ত পরিবারের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। এমতাবস্থায় ১৫ জুলাই (সোমবার) সকাল ১১ টায় ত্রাণ ও দুর্যোগ কমিটির জরুরী সভা আহ্বান করা হয়েছে।