সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ওয়াবদা বশির কলোনীর বাসিন্দা বীরাঙ্গনা জোস্না বেগম দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ রয়েছেন। ৭৩ বছর বয়স্ক জোস্না বেগমের দিন কাটে বিছানায় শুয়ে শুয়ে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ জোস্না বেগম নানা ধরেনর জটিল ও কটিন রোগে ভুগছেন। এসব রোগের জন্য তাঁকে বেশ দামি ঔষধ খেতে হয় যা তার সামর্থ্যের বাহিরে। সরকারের পক্ষ থেকে তিনি যে ভাতা পান তা দিয়ে তার সংসার চলে না। হয়না ঠিক মতো ঔষধ কেনা। তাই তিনি আজ সরকারের কাছে চিকিৎসা সাহায্যের আবেদন করছেন।
সরেজমিনে গত সোমবার দুপুরে গিয়ে জোৎস্না বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তিনি শুয়ে আছেন, আর দু’চোখ বেয়ে পানি ঝরছে। কেন এই কান্না জানতে চাইলে বলেন, তাঁকে দেখার কেউ নেই। অসহায় জীবন যাপন করছেন। কখন মরে যাবেন কেউ দেখবে না তাই ভয়ে কাঁদেন।
বীরাঙ্গনা জোস্না বেগমের স্বামীর বাড়ি জুড়ি থানায়। স্বামী শহীদ সওয়াব আলী খানের বাড়ি জুড়ি উপজেলার হরিরামপুরে। সেখান থেকে নির্যাতিত হয়ে ফেঞ্চুগঞ্জে আসেন জোস্না বেগম।
তিনি বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জে আমার বাবার বাড়ি। তাই অসহায় হয়ে এখানে আসি। কিন্তু বেশি দিন থাকা হয়নি। তাই তাঁর নিজের ঠিকানা গুনতে বশির কলোনী আসতে হয়। সেখানে সরকারী খাস জমিতে ঠিকানা গড়েন।
তাঁর দুই সন্তান রয়েছে – মিলাদ খান ও নোমান খান। কিন্তু দুই সন্তান থেকে ও তিনি আজ বিনা চিকিৎসায়, অবহেলায় দিন যাপন করছেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন ২০১৬ সালে একবার বেশ অসুস্থ হলে হবিগঞ্জ নারী আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ আসমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী তাঁকে ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। এখন ও তিনি সরকারিভাবে সাহায্যের আশা করছেন।