সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রায় দুই দশক আগে উপজেলা সদরের বড়ভাঙ্গা নদীতে নির্মিত (কাশীপুর সেতু) এর স্টিলের পাটাতন এনে লোহার পাইপের উপর স্টিলের পাটাতন অস্থায়ী ভাবে বসিয়ে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর দুই পাশের সংযোগ অংশ হেলে পড়েছে। নিচের লোহার পাইপের খুঁটিগুলোতে জং ধরেছে। অধিকাংশ পাইপ ভেঙে গেছে। লোহার পাইপের উপর বসানো স্টিলের পাটাতনগুলোর একটির সাথে আরেকটির সংযুক্তি নেই। লোহার পাইপ এবং পাটাতনেও ফাঁক ধরেছে। সেতুর উপরে যানবাহন উঠলেই কম্পন ও শব্দের সৃষ্টি হচ্ছে এবং মধ্যখানের পাটাতনও দেবে যাচ্ছে। ভেঙে পড়ার আতঙ্ক তাড়া করে। প্রতিদিনই ছোট-বড় যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার করছে। অটোরিক্সা (সিএনজি) চালক জাকির মিয়া ও পিকাপ রাজিব আহমদ বলেন, সেতুর নিচের লোহার পাইপগুলো ভেঙে গেছে এতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কয়েক বছর ধরে এই সড়কটি সংস্কার বিহীন থাকায় যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। নিয়মিত বাস চলাচল করলে অনেক আগেই সেতুটি ভেঙে পড়ত।
সেতু এলাকার বাসিন্দা রহমতপুর (গহরমলি) গ্রামের রফিক মিয়া এহতেহাত ও সমছু মিয়স বলেন, সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত এটার কোনো সমাধান হবে না বলে আমরা মনে করছি। আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি, কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে মানুষকে সতর্ক করি। বেশ কয়েক বছর আগে এই সড়কে মালবাহী ট্রাকসহ এরকম একটি সেতু একবার ভেঙে পড়েছিল। এখন যে অবস্থা, যেকোনো সময় এটিও ভেঙে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।