বালাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের গ্যাস সিলিণ্ডার ব্যবসায় ওজন ও মূল্যে ‘কারচুপি’র অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক ক্রেতা এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন, কোন কোন গ্যাস সিলিণ্ডার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সিলিণ্ডারের মূল ওজন ‘ঘষেমেঝে’ মুছে দিচ্ছেন। এতে ক্রেতা বা গ্রাহকরা গ্যাসের প্রকৃত ওজন জানতে পারছেন না। এছাড়া নকল ‘স্টিকার’ লাগিয়েও গ্যাস সিলিণ্ডার বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, বতর্মানে উপজেলার প্রায় প্রতিটি হাট-বাজারে গ্যাস সিলিণ্ডার বিক্রি হচ্ছে। দিনদিন এ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের সাথে আলাপকালে অভিযোগ পাওয়া গেছে বর্তমানে গ্যাস সিলিণ্ডার ব্যবসায় নানা রকমের ‘ভেজাল’ তৎপরতা দেখা দিয়েছে। কোন কোন অসাধু বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সিলিণ্ডারের গায়ে লিখা মূল ওজনের স্থানে ‘ঘষামাঝা’ করে তা মুছে দিচ্ছে। এতে সিলিণ্ডারের ওজন ও গ্যাসের ওজন নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও আসল স্টিকারের বদলে ‘অতি সুক্ষ্ম নকল স্টিকার’ লাগিয়ে রাখা হয়।
পরিদর্শনকালে লক্ষ্য করা গেছে, বাজারে একই কোম্পানীর সিলিণ্ডারে ভিন্ন ধরণের স্টিকার লাগানো রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, বিশেষ করে বালাগঞ্জের মোরারবাজার এবং মাদরাসা বাজারসহ আশপাশের বিভিন্ন হাট-বাজারে এসব ‘কারচুপি’ চলছে। তবে এসব হাট-বাজারের একাধিক সিলিণ্ডার ব্যবসায়ী এসব কারচুপির সাথে তারা জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন। মোরারবাজারের জিহান ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর আখতার আহমদ, সাদি এণ্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর নাজিম উদ্দিন, হাসান এণ্ড তাসনিম এণ্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর দুলন আহমদ তাদের গ্যাস সিলিণ্ডার সম্পূর্ণ ‘নিরাপদ ও কারচুপিমুক্ত’ বলে দাবি করেছেন।
এসব ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তাদের প্রতিটি সিলিণ্ডারের গায়ে সিলিণ্ডারের ওজন ও গ্যাসের ওজন উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি সিলিণ্ডারের গায়ে নির্দিষ্ট কোম্পানির আসল স্টিকার রয়েছে। তবে, কোথাও কোথাও ওজনে কারচুরি ও নকল স্টিকার ব্যবহার করে সিলিণ্ডার বিক্রির বিষয়ে তাদের গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন বলে তারা সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্রেতা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।